পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন একদিন রাধলি, আমি এক দিন রণধনুম—তা তো গায়ে লাগে না । তা ভাই— কিছুতেই শুনলে না, অহঙ্কারে উত্তরবাহিনী হয়ে চলে গেল * । যেমন কথা শোনেননি, তেমনি এখন মরছেন, ইংরাজেরা জাহাজ আর ষ্টীমার বহিরে বহিয়ে কোমর ভেঙ্গে দিচ্চে । “তুমি বোলো আমি বাহির হতে আসি—কারণ বড়দা প্রভৃতি রয়েছেন” বলিয়া নারায়ণ বহিৰ্ব্বাটীতে প্রস্থান করিলেন। জয়া আসিয়া কহিল, "মা, ও বাবুটি কে?” অন্নপূর্ণ কহিল “মর, সব ভুলে গেলি ? উনি যে আমার দেওর নারায়ণ !” জয়া কহিল “বয়েস হয়েছে, আর চোকে কাণে ভাল দেখতে শুনতে পাইনে ৷” ' বহিৰ্ব্বাটিতে উপস্থিত হইয়া নারায়ণ দেখেন, ব্ৰহ্মা তাকিয়৷ ঠেশ দিয়া বসিয়া আছেন। দেবরাজ আলবোলায় ধূমপান করিতেছেন। সদাশিব ভুড়ি উচু করে পায়চারি করিতে করিতে বলিতেছেন, “ভাল ভেবে কাশী নিৰ্ম্মাণ করলেম—কপালক্রমে মন্দ হল। তখন ভেবেছিলাম, কাশই হ'ল মর্ত্যে আমার ফরাসডাঙ্গা অর্থাৎ কেহ কখন পাপ করে এখানে পালিয়ে এলে উদ্ধার হবে! এখন দেখছি—হয়ে দাড়িয়েছে ফ্যালসানী গারদ। কি সৰ্ব্বনেশে কলের গাড়িই স্বষ্টি হল । রাত দিন কামাই নেই, ফোস ফোস শব্দ করে যত ৰাজ্যের পাপিষ্ঠগুলোকে নামিয়ে দিয়ে যাচ্চে। ঐ লক্ষ্মীছাড়া গাড়ির জন্য ফরসা কাপড় পরে বাহিরে যাবার যো নাই, পাথুরে কয়লার ধোয়ায় এক দিনেতেই ময়লা হয়। পূৰ্ব্বে রেলের রাস্তা একদিকে ছিল, আজ কাল আবার দুই দিক দিয়ে সৰ্পের মত একে বেঁকে এসে কাশীবে ধেম গ্রাস করতে বসেছে। পূৰ্ব্বে এখানে ঘি ময়দা বিলক্ষণ সস্তা ছিল। ঐ হওভাগ গাড়ি এখানকার তা ওখানে, ওখানকার তা এখানে এনে সকল দ্রব্যেই যেন আগুন লাগিয়ে দিয়েছে । আমার কাশীতে চোর, ছ্যাচোড়, বদমায়েস এত জুটেছে যে, রাত্রিতে নিৰ্ব্বিঘ্নে কাহারো ঘুমাবার যো নাই। নগর, মহলে মহলে বিভাগ করা রজনীতে প্রত্যেক মহলের দ্বার বন্ধ থাকে ; তথাপি তার মধ্যে চুরি, গহত্য, প্রাণিহত্যা কাশীতে প্রত্যহ যে কত ঘটচে, তার আর সংখ্যা নাই। সৎপাত্রে অন্নদান শাস্ত্রসম্মত ; কিন্তু আমার ভাগ্যে অসৎ পাত্রই জুটছে। যত

  • কাশীতে গঙ্গা উত্তরবাহিনী ।

չ ՛ն,