পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালী বেটা মায়ে-তাড়ানো বাপে-খেদানো গুলিখেরি গেজেল দণ্ডী সেজে দিন দিন এসে থালা থালা ভাত মেরে যাচ্চে ” ব্ৰহ্মা ! কত লোক প্রত্যহ খায় ? শিব। তার ঠিক নাই, এখানে এলে ত আর ফিরাব না ; ঐ জন্যই কাশী নিৰ্ম্মাণ করা। তবে রোধে রোধে মাগী না একটা রোগ করে বসে ! এই সময় পার্থের ঘরের স্বারে ঈষৎ আঘাতের শব্দ হইল। শিব দ্রুত যাইয়া জানিয়া আসিলেন—অন্নপূর্ণ ব্ৰহ্মার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছেন। তিনি প্রত্যাগমন করিয়া কহিলেন, “বড়দা, একবার ঘরের ভিতর যান।” ব্ৰহ্মা তংশ্রবণে গৃহমধ্যে প্রবেশ করিব মাত্র অন্নপূর্ণ পাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিয়া কহিলেন, “বাবা ! কেমন আছ, মাকে সঙ্গে করে আনলে না কেন ? তার বয়েস হয়েছে—এখন তীর্থধৰ্ম্ম না করলে করবেন কবে "* ব্ৰহ্মা। তার একান্ত আসিবার ইচ্ছা ছিল—কিন্তু বাড়ীতে লোকজন না থাকায় সাজ শল্তে কে দেয় তেবে আনতে পারলেম না। মনে মনে স্থির করেছি গঙ্গাকে এবার নিয়ে যাব । অন্ন। “উচিত। যুবতী মেয়ে পথে ঘাটে ছুটোছুটি করে বেড়ায়, সেট আর ভাল দেখায় না।” কিয়ৎক্ষণ এইরূপ কথাবার্তার পর অন্নপূর্ণ প্রস্থান করিলেন, ব্ৰহ্মাও বৈঠকখান-গৃহে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ক্রমে নানা কথায় রজনী অধিক হইলে দেবতারা শয়ন করিলেন ও সদাশিব অনারে চলিয়া গেলেন । প্রাতে অন্নপূর্ণ উঠিয়া নারায়ণকে ডাকিয়া কহিলেন, “ঠাকুরপো! তোমরা কাল উপবাস করে আছ—আজ আর ঘাটে গিয়ে স্বান করে কাজ নাই । কি কুয়া থেকে জল তুলে দিক, বাটিতে স্বান কর। ঘরে মাগুর মাছ জিয়ানো আছে—আমি কাপড় ছেড়ে ঝোল ভাত চাপিয়ে দিই।” ব্ৰহ্মা ও নারায়ণ একথায় সম্মত হইলেন, কিন্তু বরুণ ও ইন্দ্র সম্মত হইলেন না। তাহারা তেল মেখে গামছা কাধে ফেলে রাজরাজেশ্বরীঘাটে স্বান করিতে চলিলেন। যাইভে যাইতে ইন্দ্ৰ কহিলেন “বরুণ ! মন্দিরের মধ্যে ও মূৰ্ত্তি কি ? স্ববর্ণময় মুখে যেরূপ ঘূর্ণিত গোপ শোভা পাইতেছে—দেখিলে ত ইহাকে স্বারবান বলে বোধ হয়।”

  • সপীর পিতা, এই জন্যই বোধ হয় অন্নপূর্ণ ব্ৰহ্মাকে পিতৃসম্বোধন করিলেন।

>*烹