পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ। ইনি কালভৈরব । ইনি কাশীর কোতোয়াল । ইন্দ্র। কালভৈরবের উৎপত্তির কারণ কি ? বরুণ এক সময় 'অব্যয় কে’ এই কথা লইয়া ব্ৰহ্মা ও নারায়ণে অত্যন্ত বিবাদ হয়। বিবাদস্থলে মূৰ্ত্তিমান চারি বেদ উপস্থিত হইয়া বলেন ‘মহাদেব অব্যয় ? কিন্তু তথাপি র্তাহারা বিবাদ করিতে থাকেন। তখন পাতাল হইতে এক জ্যোতি উখিত হইল। জ্যোতিৰ্ম্মধ্যে শূলপাণি রুদ্রকে দেখিয়া ব্ৰহ্মা কহিলেন “রুদ্র ! আমি তোমার পিতা—আমাকে প্রণাম কর।” রুদ্রদেব এই কথা শুনিয়া কুপিত হইলে তাহার ললাট হইতে এক ভয়ানক পুরুষ বাহির হন তিনিই কালভৈরব। ঐ কালভৈরর রুত্রের আজ্ঞায় ব্রহ্মার উর্বদিকের এক মস্তক ছেদন করিলেন। তখন ব্ৰহ্মা ও নারায়ণ রুঞ্জের স্তব দ্বারা তাহাকে শাস্ত করিয়া নিজে নিজে বিবাদ হইতে ক্ষান্ত হইলেন । এ দিকে ব্ৰহ্মার ছিন্ন মস্তক আর রুদ্রের হস্ত হইতে স্খলিত হইল না । তিনি নানাতীর্থ পরিভ্রমণ করিয়া পরিশেষে কাশীতে প্রবেশ করিলে ছিন্ন হস্ত মস্তক হইতে স্খলিত হইয়। পড়ে। কালভৈরবে তদৃষ্টে বলিল আহা ! কাশী কি মহাতীৰ্থ ! আমি অদ্যাবধি এই কাশীর প্রতিহারী রহিলাম।” এ জন্ত যান্ত্রিগণ এখানে আসিয়া অগ্ৰে কালভৈরবের পূজা করে। ইহাকে সন্তুষ্ট না রাখিলে কাশীবাসের বিঘ্ন ঘটে। ইন্দ্র। বরুণ! কাশী-নিৰ্ম্মাণের কারণ কি ? বরুণ । নারায়ণ মহাপ্রলয়ের পর বটপত্রে শয়ন করিয়া জলে ভাসিতে থাকেন। ভাসিতে ভাসিতে র্তাহার পুনরায় পৃথিবী নিৰ্ম্মাণের অভিলাষ হইলে দক্ষিণ অঙ্গ হইতে শিব এবং বাম অঙ্গ হইতে অন্নপূর্ণ আবিভূত হইলেন। উভয়ে আবিভূর্ত হইয়া মনে মনে স্থির করিলেন—এমন স্থান নিৰ্মাণ করিয়া বাস করিব, যাহাতে সমস্ত পশু, পক্ষী, কীট, পতঙ্গ প্রভৃতি জন্তুগণ যে কোন প্রকার পাপে পাপী হউক—মৃত্যু হইলে মুক্তিলাভ করিবে। তাহারা এই মনস্থ করিয়া এই পঞ্চক্রোণী কাশী নিৰ্ম্মাণ করেন । এই স্থান হইতে যাইয়া উভয়ে স্বান আহ্নিক সমাপনাস্তে বাসায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। উপস্থিত হইরামাত্র নারায়ণ কহিলেন, “এত বিলম্ব ? এদিকে যে ভাত শুকিয়ে চাল হয়ে গেল !” ইহার পর দেবগণ আহারাদি করিলে বিশ্বেশ্বর ও অন্নপূর্ণ স্ব স্ব মন্দিরে প্রস্থান করিলেন। > * *