পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশী ব্ৰহ্মা । তোমার আর দিবসে নিজ যেও না । দিবানিজ বড় দোষ, উহাতে আয়ু ক্ষয় করে। ব্রহ্মার কথায় সকলে সন্মত হইলেন, এবং কি উপায়ে দিন কাটাইবেন, তাহার চেষ্টা দেখিতে লাগিলেন। চঞ্চল-স্বভাব নারায়ণ একবার যাইয়া শিবের ডুগডুগীট বাজান, কখন বা শিঙ্গেটা লইয়া ফু দেন, এক একবার তানপুরাটা হাতে নিয়ে কটাকট শব্দে কাণ মলিতে থাকেন। শীতকালের বেলা দেখিতে দেখিতে যায়। ক্রমে শিবের বৈঠকখানাস্থ ঘড়ীতে টং টং শব্দে তিনটা বাজিল। দেবতারা আমি শীতবস্ত্র গাত্ৰে দিয়া পরিচিত স্থড্রঙ্গপথে বিশ্বেশ্বরের মন্দিরে উঠলেন। উপস্থিত হইয়া দেখেন, অসংখ্য যাত্রী “ব্যোম” “ব্যোম” “হর হর” শব্দে মন্দির ফাটাইতেছে। বরুণ কহিলেন, “পিতামহ ! সম্মুখে দেখুন নাট-মন্দির। রাত্রি চারিটা হইতে সমস্ত দিন ও রাত্ৰি ১০টা পৰ্য্যন্ত অবিশ্রাস্ত লোকে বিশ্বেশ্বর দর্শন করিতে আসে । ইহঁর আরতির সময়ের দৃপ্ত বড় চমৎকার! সেই সময় ৭৮ জন ব্রাহ্মণ— রুদ্রাক্ষমালা গলে—প্রত্যেকেই হস্তে এক একটি পঞ্চপ্রদীপ লইয়া স্তোত্র পাঠ করিতে করিতে আরতি করিতে থাকে এবং কতকগুলি লোক শিঙ্গে ডম্বরের তালে গাগবাস্তু করিয়া তালে তালে নাচিতে থাকে। ইহার মন্দিরের উপরিভাগটা স্ববর্ণাচ্ছাদিত । ওদিকে দেখুন শিবের কাছারিঘর, ঐ ঘরে রাশি রাশি শিব ছড়ান আছে। দূরে দেখুন বিশ্বেশ্বরের পুরাতন মন্দিরের ভগ্নাবস্থা। উহা দুরাত্মা আওরঙ্গজেব ভাঙ্গিয় দিয়াছিল। ইন্দ্র। মুসলমানদের কি এখানেও দৌরাত্ম্য ছিল ? বরুণ। অত্যন্ত। পূৰ্ব্বে এই কাশীতে ১-১২ হাজার হিন্দু দেবমূৰ্ত্তি ছিল, আওরঙ্গজেব কর্তৃক নষ্ট হইয়াছে। এক্ষণে ১০১২ শত আছে কিনা সন্দেহ । বরুণ এখান হইতে দেবগণকে জ্ঞানবাপী দেখাইতে লইয়া গেলেন এবং তথায় উপস্থিত হইয়া বলিলেন, “পিতামহ ! এই দেখুন প্রাচীরবেষ্টিত জ্ঞানবাপী ।” ইন্দ্র । জ্ঞানবাপী কি ? বরুণ। নদীভৃঙ্গীকৃত একটি পবিত্ৰ ৰূপ। বাপীর তলায় যাইবার সিঞ্চি আছে। ইহার তলা গঙ্গার সহিত সংলগ্ন। ঐ স্থানে শিবের অল্পচর নদীর প্রতিমূর্তি আছে। সম্মুখেই দেখ প্রকাও প্রস্তরময় বৃষ স্থাপিত রহিয়াছে। জুরাত্মা আওরঙ্গজেৰ যখন অত্যাচার করে, সদাশিব এই বাপী দিয়া পলাইয়া নিম্ভার পান। পিনের > S >