পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांग्रै আমার বিবেচনায় দেবীর সর্বাঙ্গ যেমন বস্ত্রাচ্ছাদিত, তেমনি মাথায় একটু ঘোমটা টানা থাকা উচিত ছিল। হিন্দুর দেবী, একটু লজ্জ সরম না থাকা বড় অন্যায়। ভাল বরুণ ! হাতে হাতা ও খালা ধারণের কারণ কি ? বরুণ । অনেকে বলে- শিবের একদিন অন্ন ছিল না। ঐ দিন তিনি ভিক্ষা করিতে যাইয়াও কিছু না পাওয়ায় ক্ষুধায় অত্যন্ত কাতর হইয়া ভগবতীর নিকট কাদিতে থাকেন। স্বামীর কষ্ট দেখিয়া দেবীর দুঃখ হওয়ায় তিনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিলেন “যেমন আমার স্বামী আজ চারিটি ভাতের জন্ত কাতর হইলেন, তেমনি আমি যাইয়া অন্নপূর্ণরূপে ছত্রিশ বর্ণের অন্ন যোগাইব” বলিয়া, এইরূপ ধারণ করিয়া এখানে বিরাজ করিতেছেন। এখান হইতে দেবতারা ত্রিলোচন দেখিতে যান। ইনি একটি তাম্ৰপত্রাবৃত গহররমধ্যে বিরাজ করিতেছেন। মন্দিরের চতুর্দিকে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ অনেকগুলি শিব আছে । তৎপরে তাহারা সঙ্কটা-দেবীকে দর্শন করিলেন । বরুণ কহিলেন “দেখুন পিতামহ! কাশীবাসীরা সম্বটে পতিত হইলে এই দেবীর পূজা মানিয়া থাকে। মন্দিরের চারিদিকে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘর আছে, তাহাতে অনেক ব্রাহ্মণাদি বসিয়া জপ ধ্যান ও স্তোত্রপাঠ করিয়া থাকে। পিত্তলনির্মিত ঐ যে রেলিং দেখিছেন, উহা অতিক্রম করিয়া তবে দেবীকে দর্শন করিতে যাইতে হয় ।” দেবগণ এখান হইতে কিছু দূরে যাইয়া দেখেন, কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালক ধুলায় উপবেশন করিয়া অফুটম্বরে ‘ম ! বাবা কই ? সকলেরই বাবা আছে— আমাদের বাবা কই ?” বলিয়া রোদন করিতেছে ! কতিপয় অল্পবয়স্ক স্ত্রী অতি দীনবেশে রুক্ষকেশে নিকটে দাড়াইয়া সজলনয়নে বালকগণের মুখের দিকে চাহিতেছে। ইন্দ্র । বরুণ, ইহারা কে ? বরুণ । দুঃখিনী বঙ্গবিধবা । ইন্দ্র। ইহাদের এ অবস্থা কেন ? - বরুণ। ইহারা বিবাহের বর্ষে বা তাহার দুই এক বর্ষ পরে বিধবা হয় । কিন্তু বঙ্গে বিধবা-বিবাহ প্রচলিত না থাকায় ইহারা স্বামি-সহবাসস্থখে বঞ্চিত হইয়া এবং সংযম-শিক্ষার অভাবে রিপুদমনে অসমর্থতা হেতু পরপুরুষসহবাসে গর্ভবতী হয় । ইহাদের মাতাপিতা লোকাপবাভয়ে এবং ভ্রুণহত্য মহাপাপ বোধে }9