পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন তীর্থযাত্রাচ্ছলে আসিয়া ইহাদিগকে এই বারাণসী-তীর্থে বনবাস দিয়া গিয়াছেন। কাহারও কাহারও পিতা মাত কখন কখন কিছু খরচ পাঠান, কাহারও বা পাঠান না। এজন্য ইহারা ভিক্ষা করিয়া বন্ধ ক্লেশে জীবন ধারণ করিতেছে। যুলায় বসিয়া ঐ যে বালকগণ “পিতা কই” “পিতা কই” বলিয়া রোদন করিতেছে, উহার উহাদের বৈধব্য অবস্থার পুত্র। ব্ৰহ্মা ! কি পরিতাপ ! এ কঠিন নিয়ম বঙ্গে কে প্রচলিত করে ? বরুণ। আপনার পুত্র মন্থ। তিনিই ভারতের আইনকৰ্ত্ত ছিলেন। বাঙ্গালীরা প্রাণান্তে মনুর নিয়ম লঙ্ঘন করিতে চাহে না-ও চাহিবে না। যদ্যাপি কোন মহাত্মা ঐ নিয়ম লঙ্ঘন করেন—কি করিতে চাহেন ; তাহা হইলে বাঙ্গালীরা তাহাকে নাস্তিক বলিয়া উপহাস করে, তাহার সহিত আহারাদি করে ন, বরং সমাজচ্যুত করে এবং নানা প্রকারে অনিষ্ট করিবার চেষ্টা পায়। ব্ৰহ্মা। মন্থ আমার অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছিলেন। ভাল বরুণ, আমার মানুষেরা কি মন্ত্রর নিয়ম মত সকল কাজ করে ? বরুণ । তা করিলে ভারতে এত অস্কায় হইবে কেন ? মছু ব্রহ্মচৰ্য্য, সংযমশিক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে যে সকল অমূল্য উপদেশ দিয়া গিয়াছেন সে সকল পালন করিবার দিকে যত্ন নাই, কেবল বিধবা-বিবাহের নিয়মটি শক্ত করে ধরে বসে आँप्छ । ইন্দ্র । বিধবাদিগকে এখন কি নিয়ম অনুসারে চলিতে হয় ? বরুণ । তাহাদিগকে এক সন্ধ্যা নিরামিষ ভোজন করিতে হয় । একাদশীর দিন নিরন্থ উপবাস করান হইয়া থাকে। আমি অনেক সময়ে স্বচক্ষে দেখিয়াছি, কত বালিকা একাদশীর দিন পিপাসায় “প্রাণ যায়” “প্রাণ যায়” বলিয়া রোদন করিতেছে, তথাপি জল দেওয়া হইতেছে না । ব্ৰহ্মা । উঃ ! পিতা মাতা তাহাদিগের আদরের ধন, যত্নের সামগ্রীর এই কষ্ট কোন প্রাণে সহ করেন ? বরুণ । তাহারা কি করিবেন? সমাজে থাকিতে হইলে সমাজের নিয়ম মানিয়! চলিতে হইবে । অতএব অন্তরের কষ্টে দগ্ধ হইয়া অজস্র অশ্রপাত করিতে থাকেন । ইন্দ্র। কলিতে এত অল্প বয়সে বিধবা হইবার কারণ কি ? অার মমুই বা এমন নিয়ম প্রচলিত করিলেন কেন ? S$ 9