পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জব্বলপুরের সাতনায় চলে যান। ১৮৮৬ সালের ২৩শে আগষ্ট তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই দেবগণের মর্ত্যে আগমন বইটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ( ‘দ্বারকানাথ কর্তৃক সম্পাদিত এবং দুর্গাচরণ রায় কর্তৃক প্রকাশিত’ ) । ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অছমান । অনেকেরই অকুমান দ্বারক নাথেরই রচনা। ২৪ দেবগণের মর্ত্যে আগমন বইটির তৃতীয় সংস্করণে এই ভুল বোঝাবুঝি মিটে যায়। বইটির লেখক দুর্গাচরণ রায় বইটি তৃতীয় সংস্করণ উৎসর্গ করেছেন দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণকে ৷ 'গুরুদেব’ ( দ্বারকানাথ ) কে তিনি সুস্পষ্ট ভাবে বলেছেন ‘আপনি যেমন যত্ব সহকারে দেবগণকে কল্পক্রমে আশ্রয় দিয়াছিলেন, আশা করি দেবগণ, সেইরূপ আপনাকে স্বত্বের সহিত নন্দনকাননে আশ্রয় দিয়াছেন । সংশোধিত তৃতীয় সংস্করণে দুর্গাচরণের এই উৎসর্গ পত্র প্রকাশিত হয় । আখ্যা-পত্রে লেখক দুর্গাচরণ রায়ের নাম ছাড়া আর ছাপা আছে, vদ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ কর্তৃক সম্পাদিত কল্পদ্রুম হইতে উদ্ধৃত । (ছোট হরফে) স্পষ্টতই বোঝা যায়, এই ছোট হরফের রসিকতাটুকু অনেকে উপলব্ধি করেন নি। দুর্গাচরণ রায়ের বইটির সম্পাদনা দ্বারকানাথ করেন নি । তিনি কল্পদ্রুমের সম্পাদক । এবং স্বাক্সকানাথ সম্পাদিত কল্পক্রমে ধারাবাহিক প্রকাশিত বলেই গ্রন্থাকারে প্রকাশকালে এই রসিকতা করা হয়েছে । বড় হরফে দ্বারকনাথ বিদ্যাভূষণ কর্তৃক সম্পাদিত পড়েই অনেকেই মনে করবেন, যা ব্রজেন্দ্রনাথ করেছেন । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই গ্রন্থে বিভিন্ন খ্যাতনামা সমসাময়িক পুরুষদের জীবনী বর্ণনার সঙ্গে স্বয়ং দ্বারকানাথের জীবনী ও কর্মধারা বর্ণনা করা হয়েছে আমৃত্যু স্থগভীর প্রশংসাসহ। দ্বারকানাথ নিশ্চয়ই বইটি লিখলে নিজের আমৃত্যু জীবনী এত প্রশংসামুখরভাবে বর্ণনা করতে পারতেন না । সে যাই হোক দেবগণের মর্ত্যে অগিমন বইটি স্বরলোকে বঙ্গের পরিচয় অনুযায়ী । অর্থাৎ ভ্রমণ কাহিনীকে ধর্মের ছোয়া দিয়ে যে ধরনের বই আগে ছাপা হচ্ছিল, উনবিংশ শতাব্দীর স্বাধীনতা জামলে সেখানে ধর্মান্ধত কেটেছে কিছুটা । বদলে এসেছে জ্ঞান। কিন্তু ধর্মান্ধতার মৃদু ছোয়া থেকেছে এবং যুক্ত হয়েছে সমকালীন সামাজিক বিবর্তনের ইতিহাস । ২৪ দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ—সাহিত্য সাধকচরিতমালা সংখ্যা ১১পৃ-১৮ 为穆