পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন তাকিয়া ঠেশ দিয়া উপবেশন পূর্বক গল্প করিতেছেন। তিনি নারায়ণকে দেখিয়া কহিলেন “নারায়ণ ! হিম লাগাচ্চ কেন ? কাহিল শরীর, ঘরের ভিতর এস, ভাল হয়ে বোসে ; আর মাথাটা খুলে রেখে না, টুপী থাকে ত মাথায় দাও । দেখুন বড়দাদা, আমার কাশীতে—আমার সোণার কাশীতে আর আছে কি ?—যে কাশীতে বোসে কপিল সাংখ্যদর্শন লেখেন, যে কাশীতে বোসে গৌতম ন্যায়শাস্ত্র লেখেন, যে কাশী পাণিনি-ব্যাকরণ জন্য চিরপ্রসিদ্ধ, সেই কাশীতে এখন কি না কতকগুলো দুপাতা উন্টানে, নয় ত বর্ণজ্ঞানহীন ন্যায়রত্ন, বিদ্যারত্ব, শিরোর প্রভৃতি চৈতনধারী মহাত্মারা টোল খুলে দোকান পেতে, বসে আছেন। যে সব বিদ্যা বুদ্ধি ! কোন দিন বা হর হরি বিভিন্ন ভেবে হরিসভা খুলে বিষ্ঠার পরিচয় দেন! * দেখ দেবরাজ ! এই কাশীতেই মহারাজ হরিশ্চন্দ্র সর্বস্বাস্ত হয়ে বাস করেছিলেন; এই কাশীতেই তুলসীদাসের আশ্রম এবং রামানদের মঠ ছিল । এখন সেই কাশীতে আছে কি না কতকগুলো বেগু এবং লম্পট । এখন সেই কাশী কি না বাঙ্গালী বালবিধবাদিগের আগুীমান। যত্ন করে কাণী নিৰ্ম্মাণ করলাম-ভূমিকম্প হতে রক্ষার জন্য ত্ৰিশূলের উপর কাশীকে স্থাপন করলাম, এখন কি না পাপের ভরে মাসে ৩২ বার কাশীতে ভূমিকম্প হচ্চে। এক একবার এমনি রাগ ধরে ও দুঃখ হয় যে, কাশী ভেঙ্গে গোল্লায় দিয়ে নিশ্চিন্ত হই ; কাশী অগ্নি দ্বারা ধ্বংস করে ভিখারী শঙ্কর আবার ভিক্ষা করে থাই ; শ্মশানবাসী শিব আবার শ্মশানে গিয়ে আশ্রয় লই । বরুণ ! এ কি কম দুঃখ-পাপীর সংখ্যা বৃদ্ধি দেখে কালভৈরব প্রহরীর কার্য্য পরিত্যাগ করেছে! কলিও আমার সঙ্গে কৌতুক আরম্ভ করছে ! এক একবার গোপনে এসে সে ইহার ভিত্তিস্বরূপ ত্রিশূল গাছটা ধরে এমনি সজোরে নাড়া দেয় যে, বোধ হয় কাশীটে বুঝি উণ্টে পড়ল ! আমি কাশীবাসীদিগের মুখ স্বচ্ছন্দতার জন্য সকলই করেছিলাম ; দেখলাম কতকগুলো পাঠা মঙ্গের মুখে পাঠার মাংস ভালবাসে, কিন্তু কাশীতে ত ওকৰ্ম্ম হবার যো নাই, দেখে কাশীর বাহিরে দুর্গাবাড়ী করে দিলাম, সেইখানে কেটেকুটে খায়।"

  • কাশীতে এক্ষণে হরিসভাও প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।

১২৯