পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন এক দিন ভাল করে খাওয়ান হল না। আমি পোলাও খাওয়াব ভেবে রোজ রোজ চাকরকে বাজারে পাঠাচ্চি ; কিন্তু এমন দুরদৃষ্ট, এ পর্য্যস্ত একটি ভাল মাছ মিলিল না। ব্ৰহ্মা । না ভাই, তখন কৈলাসে গিয়ে একদিন ভাল করে থাইও । আপাততঃ বিদায় দাও, সত্বর একবার কলিকাতা হতে ফিরে আসি। বাড়িতে কোন অভিভাবক না থাকায় এক একবার এমি মনে হচ্চে যে, দূর কর, এইখান হতেই ফিরে যাই । শিব। “আহা ! বাড়ী থেকে কখন প্রবাসে আসা অভ্যাস নাই বলিয়াই মনটা এত খারাপ হয়েচে, তা তাড়াতাড়ি কি ? এ পারে তো রাত দিনই গাড়ী চলচে। একটু বিশ্রাম করুন, অপরাহ্লে আপনাদিগকে আমি ট্রেণে তুলে দিয়ে আসবো” বলিয়া সদাশিব তৃত্যকে কহিলেন “দেখ দেওয়ানজীকে বলে আয়—সত্বর যেন একখান পারমিশন লেটার ষ্টেশনে সই করতে পাঠান।” নারায়ণ। পারমিশন লেটার কি ? শিব । ট্রেন টাইমের সময় যাত্রী ব্যতীত অপরকে ষ্টেশনে এটেও করিতে দের না ; সে জন্য অপর কেহ সে সময়ে ষ্টেশনে যাইতে ইচ্ছা করিলে তৎপূর্বে একখানি ছাড়-পত্র স্বাক্ষর করাইয়া লইতে হয় । নারা। আপনি যে কয়টি কথা বল্লেন, এর সমস্তই ইংরাজী । শিব। কি করবো ভাই, আজকাল যে বাঙ্গালা ভাষা, যাবনিক ভাষা পরিত্যাগ করিয়া ইংরাজী ভাষাতে নিজ কলেবর পুষ্ট করিতেছে। বাঙ্গালা ভাষায় যে পনর ভাগ ইংরেজী প্রবেশ করেছে ! নারা । আপনাকে এ সব শেখালে কে ? শিব। শেখাবে আর কে ? শুনে শুনেই শিখতে হয়েচে । আজকাল মাগীরা পর্য্যন্ত ইংরাজী শিখেছে। বিশেষতঃ আমাকে শিখিবার জন্যে ভো কোন কষ্ট পেতে হয় না ; মন্দিরে বসেই অনেক শিখতে পাই। বাঙ্গালা হতে বাবুরা এসে সপাদুকা মন্দিরে উঠে পরস্পর যে কথাবার্তা কয়, সেইগুলি শুনি । কেউ বলেন “উঃ ! ট্রেন জানিতে হোল নাইট কি কষ্টই হয়েছে।” কেউ বলেন “আজ আমরা এই স্থানে রেষ্ট নিয়ে নেকষ্ট মরণিংএ আপে যাব।” আবার কেউ বা বলেন “ভাগগি ওয়াইফকে সঙ্গে আনি নি, তা হলে তার বড় ট্রাবল হতো।” >a。