পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণর মর্ত্যে আগমন আমি ভাই, বৈষ্ণবী মাগীরা বিরক্ত করায় সত্বর পালিয়ে এলাম। তুমি শেঠদের বিষয়ে গল্প কর । বরুণ। তখন সন্ধ্যা হওয়ায় দেবালয় প্রভৃতি দেখান হয় নাই । তাহাদের দেবমন্দিরে স্ববর্ণের হস্তী, অশ্ব ইত্যাদির প্রতিমূৰ্ত্তি বিরাজ করিতেছে। মন্দিরের সন্নিকটে স্ববিস্তৃত গৃহ। প্রাচীরের চারি কোণে চারিটি প্রস্তরনির্মিত গরুড়ের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। পুষ্পোপ্তান, পুষ্করিণী ও কৃত্রিম প্রস্রবণ দ্বারা ঐ গৃহটির শোভা আরো বৃদ্ধি করা হইয়াছে। গৃহমধ্যে কাকাতুয়া, হীরামন প্রভৃতি নানা বর্ণের নানা পক্ষী এবং নেপাল প্রভৃতি স্থানের মহিষাদি জন্তু সকল আনিয়া পোষা হইয়াছে। দেবালয় প্রস্তুত করিতে শেঠদিগের বিপুল অর্থব্যয় হইয়াছিল। লক্ষেীনিবাসী সা-বিহারিলালেরও বৃন্দাবনে অনেক কীৰ্ত্তি আছে। রাধারমণের মন্দিরটি তাহার সাক্ষ্যস্থল । ব্ৰহ্মা । আহা ! শেঠ মহাত্মাগিগের কীৰ্ত্তিকলাপ না দেখায় মনে বড় কষ্ট হইতেছে। তুমি কাশীর স্কুল বৃত্তাস্ত বর্ণন কর” বলিয়া দেবগণ সহ ষ্টেশন অভিমুখে চলিলেন। বরুণ । বারাণসী কলেজে সংস্কৃত ভাষার বিশেষ আলোচনা আছে। তজ্জন্ত একটি সংস্কৃত বিভাগ আছে। এই বিভাগের ব্যয় রামনগরের রাজা বিৰ্ব্বাহ করিয়া থাকেন। কলেজ হইতে কিছু দূরে একটি প্রস্তরনির্মিত প্রকাও স্তম্ভ আছে। উহা দ্বীৰ্থে ত্রিশ হাত এবং প্রন্থে পাঁচ হাত হইবে । স্তম্ভটি গাজিপুর জেলার কোন স্থানে প্রাপ্ত হওয়া যায়। উহার গাত্রের লেখা পড়িবার যো নাই বলিয়া, কোন রাজার সময়ের তাহ স্থির হর না। কাশীতে ভারতের সকল প্রদেশেরই লোক আসিরা বাস করিতেছে। বাঙ্গালীটোলায় বাঙ্গালীদিগের বাস। উহাদের মধ্যে সাধু, অসাধু, মাতাল এবং লম্পট বিস্তর আছে। কেশেল নামক এক সম্প্রদায় বাঙ্গালী ব্রাহ্মণ এখানে বাস করে । উহার ব্যভিচারদোষাসক্ত ব্রাহ্মণদিগের দ্বারা উৎপন্ন, এজন্য উহারা সমাজচ্যুত হইয়া আছে। কাশীতে বেদ, বেদান্ত, বিজ্ঞান, দর্শন ও পুরাণাদিবিং পণ্ডিত অনেক আছেন। এখানে অনূ্যন তিন চারি শত দণ্ডী, মোহাস্ত, সন্ন্যাসী, অবধূত, পরমহংস এবং পরিব্রাজক বাস করিয়া থাকেন। কাশীবাসী দওঁীদিগের মধ্যে অসচ্চরিত্র ও ভও অনেক আছে। এইস্থানে অনেক অন্নসত্র দেখিতে পাওয়া }\}e