এলাহাবাদ কামাইতে বসিলেন। গঙ্গার বিরহে তাহার ছনয়নে ঝরঝর করিয়া জল পড়িতে লাগিল । এই সময় পূৰ্ব্বপরিচিত পাদরি সাহেব সদলে পিতামহের নিকটে আসিয়া “বুড়া, টুমি গঙ্গা গঙ্গা বলিয়া কান্ধিটেছে। কি পরিটাপ। জল হইয়া কখন ড়েখা দিটে পারে ?” বলিয়া চলিয়া গেল । ইন্দ্র । সাহেব বেশ কপচাইয়া গেল। বরুণ ! ঐ কাদায় পড়ে একটা. প্রকাও মূৰ্ত্তি কি ? অার কাদাতেই বা পড়ে কেন ? বরুণ। উহা হনুমানের প্রতিমূৰ্ত্তি। বোধ হয়, হনুমানের মনে মনে অহঙ্কার ছিল যে, তাহার তুল্য বীর আর জগতে নাই, তিনি ভিন্ন কাহার সাধ্য এমন দুর্জয় সাগর বন্ধন করে । কিন্তু সম্প্রতি যমুনার ব্রিজ দেখে স্থির করিলেন, “না— আমার বাবাও আছে, অতএব বৃথা গৰ্ব্বজনিত পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য প্রয়াগে নাথা মুড়াই।” মাথা মুড়ান শেষ হইলে আবার ভাবিলেন—“কোন মুখে আর এমুখ দেখাইব ? অতএব কাদাতেই পড়ে থাকি।” এজন্ত কাদায় পড়ে আপলোষ করছেন । ইন্দ্র । ভিন্ন ভিন্ন আকারের জল দেখে তো গঙ্গা, যমুনা, এবং সরস্বতীকে বেশ চিনে লওয়া যায় । এই সময়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তরণীতে নানারূপ দেবমূৰ্ত্তি সাজাইয়া পাণ্ডাগণ সন সন বেগে দেবগণের নিকট দাড় টানিয়া আসিল এবং কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ ভিক্ষা প্রার্থনা করিতে লাগিল । নারায়ণ তাহাদিগকে হাকাইয়া বিদায় করিলেন। দেবগণ স্নান সমাপনান্তে তীরে উঠিয়া দেখেন, পূৰ্ব্বপরিচিত পাদরি সাহেৰ বক্তৃভা করিতেছেন, আর দেশের অশিক্ষিত ছোটলোক তাহাকে বেষ্টন করিয়া শুনিতেছে। সাহেব বলিতেছেন :–
- হায়, এ অপেক্ষা কি পরিটাপ আছে। যে জল, যে সামান্ত জল, বাঙ্গালী ! টােমরা টাহাকেও ডেবটা বলিয়া পূজা করিটেছে, টাহার নিকট মাটা মুড়াইটেছে। অটএব টোমরা বড়, আবিষ্কার ডুর কর, এক্ষণে অনড়কার হইটে আলোয় আইস। প্রভূ যীশুর নিকট ক্ষমা চাও, টtহার নিকট পরিটাপ কর, টিনি টোমাভিগকে উড়ার করিবে ।” -
নিকটে একজন ৰাঙ্গালী যুব উপস্থিত ছিল। সে এই সময় দ্রুতবেগে আসিয়া Şwo
