পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন দেখিতে চলিলেন । রাস্তার উভয় পার্থে শ্রেণীবদ্ধ বৃক্ষ থাকায় সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে বড় শোভা ধারণ করিয়াছিল। যাইয়া দেখেন অনেকগুলি শিবমন্দির রহিয়াছে। তাহারা উপস্থিত হইবামাত্র পাণ্ডাদিগের যুবতী কন্যারা পয়সার জন্য এমন বিরক্ত করিতে লাগিল যে পলাইয়া আসিতে বাধ্য হইলেন। দেবগণ সে রাত্রি পদোর মার দোকানে কম্বল মুড়ি দিয়া কাটাইয়া প্রাতে বেণীঘাটে স্নান করিতে চলিলেন। ঘাটে উপস্থিত হইয়া ব্রহ্মা কহিলেন, “বরুণ! এই মন্দিরাধিষ্ঠিত বিষ্ণুমূৰ্ত্তির নাম কি ? বরুণ। বিষ্ণুমূৰ্ত্তির নাম বেণীমাধব । বেণীমাধবের নাম অনুসারে ঘাটের নাম বেণীমাধবের ঘাট হইয়াছে। শ্রীরামচন্দ্র বনবাসে যাইবার সময় এই ঘাটে পার হইয়াছিলেন । পার হইয়া কিছু দূর যাইলে গুহক চণ্ডালের সহিত তাহার जांकां९ ट्ध्र । ইন্দ্র । পরপারে ও বাড়ীম্বর কাহার ? বরুণ ৷ হবাচন্দ্র রাজার। লোকে যে কথায় বলে “হবাচন্দ্র রাজার গবাচন্দ্র মন্ত্ৰী”—সেই হবাচন্দ্র রাজা ঐ স্থানে রাজ্য করিতেন । ইন্দ্র। হবাচন্দ্র রাজার রাজ্যশাসন কিরূপ? বরুণ । লিখে লও, তোমাদের উপকার দেখতে পারে । হবাচন্দ্ৰ দেখিলেন সকল রাজাই দিবসে রাজকাৰ্য্যের আলোচনা করেন এবং বাজারে চাল, ডাল, মুড়ি, মুড়কী, গজা মতিচুর ভিন্ন ভিন্ন দরে বিক্রয় হয়। তিনি নিয়ম কছিলেন, তাহার রাজ্যে রাজকাৰ্য্য প্রভৃতির আলোচনা দিবসে না হইয়া রজনীযোগেই নিৰ্ব্বাহ এবং বাজারের প্রত্যেকে দ্রব্য এক দরে ও ওজনে বিক্রয় হইবে । প্রত্যেক প্রজাকে রজনীতে স্নান আহার পূজা আহ্নিক আদি করিতে হইবে। ঐ সময় আলো জেলে বাজার হাট বসিবে, কৃষকেরা মশাল হাতে করে লাঙ্গল চষিবে। দিবসে প্রত্যেকে দ্বার বন্ধ করিয়া নিদ্রা যাইবে ও চৌকিদার চৌকী হাকিয়া পথে পথে ফিরিবে । ইন্দ্র হাস্ত করিয়া কহিলেন, “হবাচন্দ্র রাজার রাজকাৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা মন্দ নয় ।” এখান হইতে দেবগণ রাজা বাসুকি দেখিতে যান। ইনি একটা বাধা ঘাটের উপর মন্দির মধ্যে আছেন । মন্দিরটি বৃহদাকার সপের দ্বারা বেষ্টন করা