পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেব গণেরমর্ত্যে আগমন দেবগণ এইরূপ দুঃখ করিতে করিতে বাসায় আসিলেন। তাহারা অপরাৰুে খস্রুবাগ দেখিতে যান। তথায় উপস্থিত হইয়া বরুণ কহিলেন, “পিতামহ ! এই উষ্ঠানটি সম্রাট-পুত্র খসরু নিৰ্মাণ করিয়াছিলেন। উষ্ঠানের চতুর্দিকে যে অত্যুচ্চ প্রাচীর দেখিতেছেন, উহা এলাহাবাদের কেল্লা নিৰ্ম্মাণ হইলে যে দ্রব্যসামগ্ৰী অবশিষ্ট থাকে, তাহা দ্বারা নিৰ্ম্মিত।” দেবগণ একটি বৃহৎ ফটক দিয়া ভিতরে প্রবেশ করিলেন এবং প্রশস্ত ও পরিষ্কৃত রাস্তা দিয়া চলিলেন । যাইতে যাইতে ইন্দ্ৰ কহিলেন, “বরুণ ! দেখা যাইতেছে ও দুটো কি ?” বরুণ। ও দুটি পুরাতন মসজিদ। ওদিকে দেখ—মাটির মধ্যে একটা গৃহ। এই উষ্ঠানে এমন চমৎকার চমৎকার বৃক্ষ লতা আছে যে, আমি তৎসমূদ্বয়ের নাম জানি না। ওদিকে সবাই ; ঐ সরায়ে আসিয়া যাত্ৰিগণ বাসা করিয়া থাকে। সরায়ের সন্নিকটে একটি কূপ ও তাহার মধ্যে নামিবার সিড়ি আছে। দেবগণ খসরুবাগ হইতে যুদ্মা মসজিদ দেখিয়া প্রত্যাগমন করিতেছেন, এমন সময় বরুণ পথিমধ্যে সেই পূৰ্ব্ব পরিচিত বাঙ্গালী যুবকে (যিনি পাদরী সাহেবের সহিত তর্ক করিয়াছিলেন ) দেখিতে পান। ব্ৰহ্মা যুবকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—“তুমি তো বাঙ্গালী দেখিতেছি। তোমার নামটা কি বাবা ?” যুবা । নিশিকাস্ত সেন । ব্ৰহ্মা। জাতি ? যুবা বৈদ্য । “কুলাঙ্গার ! তোর গলায় পৈতা কৈ ?” বলিয়া ব্ৰহ্মা সজোরে এমনি একটি ধাক্কা দিলেন যে, যুব পড়িতে পড়িতে রহিয়া গেল। বরুণ । ঠাকুরদা ! এত রাগ লেন কেন ? পৈতা উহার কোমরে আছে । ব্ৰহ্মা। কেন—ঘুনীর অভাবে কি বৈদ্যের পৈতা ব্যবহার ? বরুণ । আঞ্জে, অনেকে বলে বৈশুজাতির গলায় পৈতা ব্যবহার করা উচিত নহে । ব্ৰহ্মা। যারা বলে, তারা ভ্রান্ত । l ইন্দ্র ৷ বৈন্থেরা গলায় পৈতা ব্যবহার করতে পারে ? ব্ৰহ্মা | পারে না ? ব্রাহ্মণ কর্তৃক শাস্ত্রবিধানে বিবাহিত বৈপ্ত পত্নীতে যে } 0 &