পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন মিত্র নামক এক ব্যক্তি অনেক টাকা ব্যয় করেন। ওদিকে দেখ ধর্ণহিল মেমোরিয়াল। ঐ গৃহের ভিতরটি বড় মনোহর । & এই সময় একটি সাহেব এবং একটি মেম অশ্বারোহণে উদ্যান-ভ্রমণে আসিল । দেবতারা আর কখন মেয়ে-মানুষকে ঘোড়ায় চাপিতে দেখেন নাই ; সুতরাং আশ্চৰ্য্যাঙ্গিত হইয়া চাহিতে লাগিলেন । সাহেব বিবি উভয়ে কি কথোপকথন করিয়া দুজনেই অশ্বগৃষ্ঠে কশাঘাত করিয়া বিদ্যুতের ন্যায় অদৃশু হইল। তখন পদ্মযোনি উহাদিগকে লক্ষ্য করিয়া বলিতে লাগিলেন, “ধন্য তোমাদের সাহস, ধন্য তোমাদের লীলাখেলা ! মেয়ে পুরুষ সকলেই সমান ! স্ন্যা ! ঘোড়ায় পাছে লাথি মারে—এই ভেবে আমরা ঘোড়ার কাছ দিয়ে ইটিনে ! "শতহস্তেন বাজিন: বলিয়া বিধান দিয়া থাকি।" এখান হইতে দেবগণ হাইকোর্ট, মিয়র্স, কলেজ প্রভৃতি দেখিয়া বাসায় আসিলেন এবং পদোর মাকে বলিলেন, “পদোর মা, তোমার কত পাওনা হ’ল হিসাব করে লও, আমরা চল্লেম ।” পদোর মা মনে মনে মহা-দুঃখিত হইল । তাহার মনের ভাব-আর কিছু দিন থাকিলে বেশ দশ টাকা হাত করিত। যাহা হউক, সে তৎপ্রবণে হাতে বহরে খুব লম্বা একটি ফৰ্দ আনিয়া দিল,—সেটা পদোর হাতের লেখা । দেবতারা ফাঁদ দেখে অবাক ! পদোর মা করলে কি ! আগে দর দস্তুর ক’রে দ্রব্যাদি না লইয়া তাহারা নিজেই বোকা হইয়াছেন। অতএব কথা কহিতে সাহদ হইল না। কেবল বরুণ কছিলেন, “পদোর মা, আর হাতী টাতী আসে ?” পদোর মা ! ( সক্রোধে ) এখানেও লাগলে । যার জন্তে দেশ ছেড়ে পালিয়ে এলাম, আবার এখানেও তাই ? তোমার কি ক'রেছি বল তো ? “না পদোর মা, এই নেও , তোমার টাকা নেও” বলিয়া বরুণ টাকাকড়ি চুকাইয়া দিয়া দেবগণ সহ ষ্টেশন অভিমুখে চলিলেন । যাইতে যাইতে নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ ! পদোর মাকে হতী আসে কি না জিজ্ঞাসা করায় ও অমন রেগে উঠলো কেন ?” বরুণ । বাল্যকালে পদোর গান-বাজনায় বড় সখ ছিল। উহাদের বাসস্থান সোণাখালি। গ্রামের ভদ্রলোকেরা এক সময়ে একটা কবির দল করেন। তাহাদের ›8ቆ