পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন আকারপ্রকার যেমন কদর্ঘ্য, তেমনি কর্কশ । দেখিলে আত্মাপুরুষ শুকাইয়া যায়। দেবতার স্থির সিদ্ধান্ত করিলেন, এরা বোমবেটে ডাকাত । বরুণ। পিতামহ । ঐ যে পিতলের স্তম্ভ দ্বারা বেষ্টিত সঙ্কীর্ণ গৃহমধ্যে দেবীমূৰ্ত্তি বসিয়া আছেন, উনিই ভোগমায়। মন্দিরের চতুৰ্দ্দিকে দেখুন, আরো অনেক দেবীমূৰ্ত্তি রহিয়াছে। এই সময় পাণ্ডাগণ পয়সার জন্য অত্যন্ত বিরক্ত করায় দেবতারা আর মন্দিরমধ্যে প্রবেশ করিলেন না। একখানি গাড়ী ভাড়া করিয়া বিন্ধ্যাচল পৰ্ব্বতের অধিষ্ঠাত্রী যোগমায়ার (অষ্টভূজা বা বিন্ধ্যবাসিনীর ) দর্শনে চলিলেন । দূর হইতে বিন্ধ্য পৰ্ব্বত দেখিয়া ব্ৰহ্মা কহিলেন, “বরুণ! যদি ঐ পৰ্ব্বতের উপর যোগমায়া থাকেন, তাহ হইলে না যাইয়া এস্থান হইতে ফিরিলেই ভাল হয়। কারণ, আমার যেরূপ প্রাচীন শরীর কি সাধ্য যে, পাহাড়ে উঠে ঠাকুর দেখি ! বরুণ। আজ্ঞে, উপরে উঠতে কোন কষ্ট হইবে না । দেবীর একজন ভক্ত অনেক অর্থ ব্যয়ে একটি সিড়ি প্রস্তুত করিয়া দিয়াছেন। ক্রমে গাড়ী আসিয়া সিড়ির সন্নিকটে উপস্থিত হইল । দেবতারা প্রফুল্ল মনে হাত ধরাধরি করিয়া ধাপ ভাঙ্গিয়া উপরে উঠতে লাগিলেন। উঠিয়া দেখেন বৃহৎ বৃহৎ বৃক্ষশ্রেণী, তন্মধ্যে শিবমন্দির । মন্দিরাধ্যক্ষগণের বাসের জন্য পৰ্ব্বতগাত্রে অনেকগুলি গুহা খনন করা রহিয়াছে। স্থানটির চতুদিকে বসিয়া সাধুগণ বেদপাঠ করিতেছেন। শৈলশিখরের কিয়দংশে গুহা খনন করিয়া দেবমূৰ্ত্তি তন্মধ্যে রাখা হইয়াছে। গৃহটি বৃহৎ নহে, অনুনি দশজন মাত্র উপবেশন করিতে পারে। গুহের দুটি দ্বার। ব্ৰহ্মা। এ মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করে কে ? বরুণ। যে সময়ে নারায়ণ দেবকীর অষ্টম গর্ভে জন্ম লয়েন, ঠিক সেই দিন সেই সময়ে মহামায়াও যশোদার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন । নারায়ণ জন্মিবামাত্র বস্থদেবের প্রতি দৈববাণী হয়, তুমি এই রজনীতে নিজপুত্রকে যশোদার স্থতিকাগৃহে রাখিয়া তাহার কন্যাকে অপহরণ করিয়া আন । বস্বদেব দৈববাণী অনুসারে দেবীকে বদল করিয়া আনিয়া নিজ কারাগৃহে রাখিবামাত্র তিনি চীৎকার শব্দে কাদিয়া উঠেন। গ্রহরিগণ সেই ক্ৰন্দন শ্রবণে কংসকে সংবাদ দেয় যে, দেবকীর >歌哆