পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিরজাপুৰ সন্তান হইয়াছে ; কিন্তু কংস আসিয়া দেখেন, পুত্র নয়—একটি কস্তা। তখন তিনি মনে মনে কহিলেন “দেবর্ষি নারদ বলিয়াছিলেন, দেবকীর অষ্টম গর্তের পুত্ৰ আমাকে বিনষ্ট করিবে”, কিন্তু অষ্টম গর্ভে পুত্র না হইয়া কন্যা হইল। ইহাকে আর অনর্থক হত্যা করিয়া কি হইবে ? আবার ভাবিলেন, “শক্র কিছুই ভাল নহে, নিকাশ করাই কর্তব্য হইতেছে" এই ভাবিয়া তিনি স্থতিকাম্বরে প্রবেশপূর্বক সেই সদ্যঃপ্রস্তুত কন্যাকে গ্রহণ করিয়া হত্যাভিলাষে প্রস্তরের উপর সজোরে নিক্ষেপ করিবামাত্র দেবী হাসিতে হাসিতে শূন্তে অন্তৰ্হিত হইলেন। যাইবার সময় তিনি মিরজাপুরে এই মূৰ্ত্তিতে বিশ্রাম করিাছিলেন । দেবগণ তখন ভক্তিসহকারে প্রণামপূর্বক গৃহের চতুর্দিকে চাহিতে লাগিলেন। ইন্দ্র কহিলেন, “বরুণ ! যোগমায়ার দক্ষিণে ও মুড়ঙ্গটি কি ?” বরুণ। পাণ্ডারা বলে—তিনি ঐ স্বরঙ্গ দিয়াই আবির্ভূত হন । ইন্দ্র । দেবীর গাত্রে একখানি বস্ত্ৰ দেখিতেছি, উহা কি শীতপ্রযুক্ত দেওয়া হইয়াছে ? বরুণ। কি শীত, কি গ্রীষ্ম সকল সময়েই উহার গাত্র বস্ত্রদ্বারা আচ্ছাদিত্ত থাকে। খাত্ৰিগণ আসিয়া একখানি নূতন বস্ত্র দিলে পাওীগণ সেইখানি গাত্রে দিয়া ঐ খানি লাভ করে । “এখনকার পাণ্ডাগণ বড় ভদ্র। ইহাদের তেমন দৌরাত্ম্য দেখিতেছি না” বলিয়া ব্ৰহ্মা দেবগণসহ সংহারমায়া দেখিতে চলিলেন। এই মহাকালীমূৰ্ত্তি এস্থান হইতে অমৃন অৰ্দ্ধ ক্রোশ দূরে উচ্চতর পর্বতে আছেন। প্রায় দেড়শত আন্দাজ সিড়ি অতিক্রম করিয়া তবে উপরে উঠতে হয়। দেবগণ ক্রমে যাইয়া উপস্থিত হইলেন এবং সংহারমায়ার ভয়ঙ্করী মূৰ্ত্তি সভয়ে দেখিতে লাগিলেন। নারায়ণ কহিলেন, “মুখের ই টা দেখ, যেন একটা ছোট খাট পৰ্ব্বতের গহবর !" বরুণ। পিতামহের স্মরণ থাকিতে পারে—এক সময় শুম্ভ নিশুম্ভ দৈত্য সদলে স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্য পাতাল অধিকার করিয়া দেবগণের প্রতি অত্যন্ত অত্যাচার আরম্ভ করিলে আমরা ভগবতীর শরণ লই । দেবী আমাদিগকে অভয় দিয়া মোহিনীবেশে শুম্ভ দৈত্যের উস্তানে জাসিয়া দেখা দেন। এই স্থানে সেই উষ্ঠান ছিল। ধূম্রলোচনের মুখে সে রূপের কথা শুনিয়া দৈত্যবংশ পতঙ্গবং রূপবহ্নিতে গা ঢালিতে থাকে। যে মূৰ্ত্তিতে ভগবতী শুম্ভকে সংহার করেন, এই সংহাৱমূৰ্ত্তি সেই মূৰ্ত্তি। ጏ¢ »