পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেৰগণের মর্ত্যে আগমন এই কথা শ্রবণে দেবগণের শরীর রোমাঞ্চিত হইল। তাহারা দেবীকে ৰারংৱায় প্রণাম করিয়া স্তব করিতে লাগিলেন । এখান হইতে বিদায় হইবার সময় পদ্মযোনি মন্দিরের সন্নিকটে একটি স্থান দেখিয়া বরুণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বরুণ ! এ স্থানটি কি ?” * বরুণ। উহা নাথজী নামক এক সাধুর সমাধিস্থান। এই স্থানে অষ্ঠাপি কেহ কেহ বরাহ বলি দিয়া থাকে। উক্ত সাধু যে স্থানে বসিয়া তপস্যা করিতেন, ওদিকে দেখুন সে স্থানও বর্তমান। ঐ স্থানটি ঠিক বিক্রমাদিত্যের বত্রিশ সিংহাসনের ন্যায়। ঐ স্থানে বসিয়া কেহ কখনও তপস্যা করিতে পারে না। কয়েকজন বসিয়া তপস্যা করিবার চেষ্টা করে, তন্মধ্যে একজন উন্মাদরোগগ্রস্ত হয়, অপরের সাংঘাতিক পীড়া জন্মে, আর একজন একটি প্রকাও সৰ্প দেখিয়া ভয় পায়। দেবগণ বিন্ধ্যাচল হইতে নামিয় ধীরে ধীরে নগরে আমিয়া উপস্থিত হইলেন এবং আহারাদি করিয়া অসংখ্য অট্টালিকা, বাজার, হাট দেখিতে দেখিতে সন্ধ্যার পর ষ্টেশনে আসিয়া বঁকীপুরের টিকিট লইয়া ট্রেণে উঠিলেন। ট্রেণ ছপাছপ শব্দে কয়েকটা ষ্টেশন অতিক্রম করিয়া চুনারে আসিয়া উপস্থিত হইল। ইন্দ্র । এ ষ্টেশনের নাম কি বরুণ ? বরুণ। এ স্থানের নাম চুনার। চুনারের কেল্লা বড় বিখ্যাত। ঐ কেল্প। পাল রাজাদিগের দ্বারা নির্মিত হয়। অনেকের সংস্কার আছে-ভূতে উহা এক রাজিতে নিৰ্মাণ করিয়াছে। রাজপ্রতিনিধি লর্ড হেষ্টিংস বারাণসী হইতে চৈত সিংহের ভয়ে পলাইয়া আসিয়াছিলেন। তিনি যে গৃহে বাস করেন, সে গৃহটিও অদ্যাপি বর্তমান আছে। এখানে হিন্দুরাজাদিগের বহুকালের পুরাতন রাজবাটী আছে। একটি কূপও দেখিতে পাওয়া যায়। উহার পরিধি ১৫ ফিট। চুনারের পাথরবাটী ও তামাক বড় বিখ্যাত । ট্রেণ ছাড়িল। ট্রেণ মোগলসরাই প্রভৃতি অতিক্রম করিয়া যুমানিয়া ষ্টেশনে উপস্থিত হইলে । বরুণ কহিলেন, “পিতামহ। এই ষ্টেশন হইতে ১৪ মাইল দূরে গাজিপুর নামক একটি উৎকৃষ্ট স্থান আছে। ঐ স্থানটি দেখিবার উপযুক্ত বটে। গাজিপুরে অনেকগুলি উত্তম উত্তম বাজার ও ক্যান্টনমেন্ট আছে এবং ইংরাজপটতে অনেক ইংরাজ বাস করিয়া থাকে। রাজ প্রতিনিধি কর্ণওয়ালিসের ঐ স্থানে মৃত্যু হয়। র্তাহার প্রস্তরনির্মিত কবর অন্যাপি বর্তমান আছে। গাজিপুরে অনেক