দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ । যাচ্চেন কোথায় জানেন না ? এ সব সভ্য দেশ, এরা ঘনঘন তামাক খেলে বড় চটে। ব্ৰহ্মা। দেখ বরুণ! সভ্যেরা আমার ঘনঘন তামাক খাওয়া দেখে চটেন চট্বেন। কি করবে ভাই,-হাত নাই ! যখন আমি অহাম্মুকি করে ও ছাইভস্ম স্বষ্টি করে ফেলেছি, তখন আমাকে এক ছিলিমের স্থানে বিশ ছিলিম পোড়াতে হবে । এতে নিন্দা হয় নাচার । ক্রমে ট্রেণ দানাপুর অতিক্রম করিয়া বাকীপুরে আসিয়া উপস্থিত হইল । দেবগণ নামিয়া ষ্টেশনের বাহিরে চলিলেন। গেটের বাহিরে গিয়া দেখেন— অসংখ্য একা এবং বহুসংখ্যক গয়ালী ও চৌবে * পাওারা যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করিতেছে। গয়ালীদিগের যেমন চেহারা, তেমনি সাজ পোষাক। শীত প্রযুক্ত প্রত্যেকেরই গাত্রে কম্বল জড়ান, তাহ আবার দৃঢ় করিয়া রাখিবার জন্য এক একখানি মোটা ময়লা বস্ত্রের দ্বারা বন্ধন করা । সকলেরই স্কন্ধে এক এক গাছি মোটা বঁাশের লাঠি। লাঠির অগ্রভাগে এক এক জোড়া দুই হাত আড়াই খাত আন্দাজ মহিষ-চৰ্ম্মনির্মিত নাগরা জুতা ও তৎসহ এক একটি লোটা (ঘটি) লম্বমান ঠিয়াছে। দেবতারা অগ্ৰে যমদূত বিবেচনায় ভয় পান ; কিন্তু বরুণ বুঝাইয়া দেন, ইহরেই নাম গয়ালী । গয়ালী । আমরা গয়ালী গুরুর গো-মাষ্টার । ইন্দ্র। কি বলে ? م বরুণ। বলচে “আমরা গয়ালী গুরুর গোমস্তা। এরা সৰ্ব্বদা বাঙ্গালায় যায়, তাই বাঙ্গালা কথা শিখে এসেছে। ব্ৰহ্মা। এখান হতে গয়া কতদূর । বরুণ। সাড়ে আঠাইশ ক্রোশ রাস্তা হবে । * ব্ৰহ্মা। ছি! ছি:! যমের বড় অন্যায়। যখন প্রথমে রেলের রাস্ত প্রস্তুত হয়, শমন আমার নিকট গিয়া কাদিতে কাদিতে কহিল, “পিতামহ । এতদিনের পর আমার সর্বনাশ উপস্থিত। গয়ার রেল হইতেছে, আমার জেলখানা ( নরক) আর থাকে না । লোকে গদাধরের পাদপদ্মে পিও
- গয়া করিয়া যাত্ৰগণ মধুরা ও বৃন্দাবনে যাইবে, এই আশ্বাসে এখানেও dष्ो५ि
পাণ্ডার উপস্থিত থাকে। + এক্ষণে গয়ায় যাতায়াতের আরওঁ সুবিধা হইয়াছে । so عهد
