পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विब्रछांनूद्ध শ্রাঙ্ক-তৰ্পণ করিলেন এবং গয়ালী গুরুকে একটি করিয়া নারিকেল ও একটি কঞ্জিয়৷ টাকা দিয়া প্রস্তরনির্মিত বাধাঘাট দিয়া উঠিয়া গদাধরের বাটিতে উপস্থিত হইয়া দেখেন—মতা গয়ায় আসিয়া পুত্রকে পিণ্ড দিতে হইৰে ভাবিয়া বাধান পাথরের মেজেয় শয়ন করিয়া চিৎকার করিতেছেন। স্ত্রী স্বামীকে পিণ্ড দিতে হইবে ভাবিয়া মূৰ্ছিত হইয়া পড়িয়াছেন। গদাধরের বাড়ীতে যেন শোকের ফোয়ারা খুলিয়া দিয়াছে । দেবগণ দুঃখিত হইয়া বিষ্ণুমন্দিরে প্রবেশ করিলেন এবং সকলে গদাধরের পদচিহ্ন বেষ্টন করিয়া বসিয়া পুরোহিতের আদেশমত পিণ্ড দিতে লাগিলেন । শেষে পুরোহিত কহিলেন, আপনারা মনে মনে যাহাকে ইচ্ছা পিণ্ড দিতে পারেন। তচ্ছ বণে নারায়ণ নিম্নলিখিতরূপে পিণ্ড দিতে লাগিলেন । * “আমার বংশে যে সকল গোয়ালা বা বৈষ্ণব অথবা রাজপুত বা ব্রাহ্মণ, মৎস্ত কিংবা বরাহ কি কুৰ্ম্ম প্রভৃতি যে সকল মহাপুরুষের মৃত্যু হইলে গতি হয় নাই, র্তাহাদের জন্য এই পিণ্ডার্পণ করিলাম। আমার কয়েক অবতারে বন্ধুগণের বংশে, আমার বংশে, মাতামহের বংশে, প্রতিবেশীর বংশে এবং গ্রামের লোকের বংশে যাহারা মাতৃগর্তে থাকিয়াই, অথবা সর্পাঘাতে, চোর ডাকাতের হাতে, জলমগ্ন হয়ে, ঘর চাপা পড়ে, ব্যাঘ্র কর্তৃক, পশুগণের শৃঙ্গে, বৃক্ষ হতে পতিত হয়ে, কুকুর শৃগালের দংশনে, আফিং কিংবা বিষ ভোজনে, ছুরি ও দড়ি গলায় দিয়ে, অকালে না খেতে পেয়ে অথবা যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে যদি কেহ প্রাণত্যাগ করে থাকেন, তাহাদের উদ্দেশে পিণ্ডার্পণ করিলাম। আমার বংশে যদি কোন স্ত্রীলোক একাদশীর দিন ক্ষুৎপিপাসায় কাতর হয়ে, প্রসব বেদনায় স্থতিকাগৃহে অথবা স্বামীবিয়োগে কাতর হইয়া চিতারোহণে প্রাণত্যাগ করিয়া থাকেন, তাহদের উদ্দেশে পিণ্ডদান করিলাম। আমার বংশে যদি কেহ নরকে থাকেন, পস্তযোনি প্রাপ্ত হইয়া থাকেন অথবা ভূত প্রেত হইয়া পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করেন, তাহদের উদ্দেশে পিণ্ডার্পণ করিলাম। আমার শ্বশুরকুলে, গুৰু-পুরোহিত-কুলে, পাড়ার লোকের কুলে, চাকর চাকরাণীর কুলে, এবং তঁহাদের ও আমার আত্মীয়স্বজন বন্ধু বান্ধব ও গ্রামস্থ কাহারও কুলে যদি কেহ নরকে থাকেন, সকলের উদ্দেশে পিণ্ড প্রদান করিলাম । গায় পিণ্ডদানকালে যে "পিতৃযোড়শ ও ‘মাতৃযোড়শী’র মন্ত্ৰ পাঠ করিতে श्ञ्च, তাহাতে নিম্নলিখিত ভাবের কথা আছে । Swee