পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন ইঙ্গ। বিষ্ণুমন্দিরে আর কোন প্রতিমূৰ্ত্তি নাই ? বরুণ। না ; কেবল প্রস্তরে জঙ্কিত বিষ্ণুর পদচিহ্ন আছে। লোকে ঐ পদচিহ্নের উপর পিওপিণ করে। মন্দিরের ওদিকে গদাধরের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। দেবগণ ইহার পর রামশিলা, ব্রহ্মযোনি ইত্যাদি অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাহাড়ে পিণ্ডদান করিয়া প্রেতশিলা অভিমুখে চলিলেন । তাহারা যাইবার সময় দেখেন—একজন বেগু ছুইজন লম্পট সঙ্গে প্রেতশিলায় যাইতেছে । লম্পট-দ্বয়ের মধ্যে একজন বেশী মাতাল । সে বেঙ্গকে বলিতেছে "বাবা গোলাপ ! ( বেগুার নাম) তুই আমাকে কেমন ভালবাসিস ? আমি তোকে, ফন্তু-স্ত্রীরের শূকরেরা যেমন বিষ্ঠ ভালবাসে তেমনি ভালবাসি।” বেখ কহিল "ওরে গুয়োটা ! থাম্ তোদের জালাতেই প্রেতশিলায় যাচ্চি * ইন্দ্র। বরুণ ! ও কি ! মাগীকে মিলে তাকচে বাবা বলে, মাগী উত্তর দিচ্চে গুয়োটা বলে ! বরুণ। মাতালেরা যাকে তাঁকে বাবা বলে । নারা । মার অপরাধ ? বক্ষণ । এমন ছেলে পেটে ধরেন কেন ? দেবগণ ক্রমে যাইয়া প্রেতশিলার সন্নিকটে উপস্থিত হইলেন । বরুণ কহিলেন “এখানে পিণ্ড দিলে পূৰ্ব্বপুরুষগণ প্রেতত্ত্ব হইতে মুক্ত হন ।” এই সময় কতকগুলি বাঙ্গালী স্ত্রীলোক পরম্পর গল্প করিতে করিতে প্রেতশিলার সন্নিকটে জাসিয়া উপস্থিত হইল। উহাদের মধ্যে একজন কহিল “বোস দিদি, আমার শ্বশুরের মামাতে ভায়ের পিসশ্বত্তরের ভায়ের নামটি কি তোর মনে আছে ? আহা ! বড় ছেলে বাপকে জুতো মারায় তিনি আফিং খেয়ে মরেন। শোনা যায় মরে ভূত হয়ে অত্যন্ত উপত্ৰৰ কচ্ছেন। যে সব ছেলে ! মিন্সের উদ্ধার হবার জার উপায় নেই, একটি পিণ্ডি দিয়ে গতি করতাম।” আর একজন কহিল “মা গো ! গাটা কাটা দিয়ে উঠে, কাল রাত্রে স্বপ্নে দেখি—জামার মেজো ননঙ্গ—হাতে শাখা, কপালে এক কপাল সিদর, আমার শিয়রে খোনাখোন কথায় বললেন, বে এসেঁটে যদি আমার সদগতি করে ঘেঁও, একটা পিত্তি দিতে স্থলোনা। bise