পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিরজাপুর জ নিওঁ আমি আতুড়ঘরে মারে তোমাদের বঁাশবাগানে পেত্নী ইয়ে আছি।” আর একটি রমণী কাতে কামতে বলচেন, “গিৰি ! শান্তিপুরে পূজোর বার্ষিক আদায় করতে যাবার সময় কামারডেঙ্গীর খালে ডাকাতের জামায় ঠেঙ্গিয়ে মারে, সেই থেকে আমি সেখানে একটা শিমূল গাছে ভূত হরে আছি। যদি কপালক্রমে গয়ায় এসেছ, আমার গতি করে, একটা পিণ্ডি দিতে ভুলে না।” (চক্ষে অঞ্চল দিয়া ) মোক্ষদা মা ! আমি কি কত্তে গয়ায় এলাম ? তিনি যে এত করে বললেন, কিছুই কত্তে পেলাম না বাধা পড়ল, এ লজ্জা আর কোথায় রাখবো ? আমার কি বাছা ! তিনি তো পিণ্ডি খেয়ে স্বর্গে গিয়ে স্বর্থী হতেন। আমার কপালে যা আছে হবে-আমি মল্পিক বাউীর হাড়ি ঠেলে ঠেলেই দিন কাটাব।” দেবগণ এই কথা শুনিয়া অত্যন্ত দুঃখিত হইলেন এবং এখান হইতে সকলে বাসায় গেলেন। পরে তিন দিন গয়াতে অবস্থিতি করিয়া সকলে অক্ষয়বটের তলা হইতে স্বফল আনিতে চলিলেন । দেবগণ যাইয়া দেখেন, লোকে লোকারণ্য । গয়ালী গুরুর কেহ শিবিক মধ্যে, কেহ তাস্থ মধ্যে এবং কেহ কেহ বা বৈঠকখানা গৃহে বিরাজ করিতেছেন। যাত্রী স্ত্রীলোকেরা তাদের সন্নিকটে করযোড়ে দাড়াইয়া বিনীতভাবে পাচ সিক, নয় সিকা এবং কেহ কেহ বার জানা মূল্যের স্বফল চাহিতেছে। “পাচ টাকার কম মূল্যের স্বফল নাই” বলিয়া গয়ালী গুরুর প্রত্যেক যাত্রীর হস্ত পুষ্পমালায় বান্ধিয়া ফেলিতে হুকুম জিতেছেন। যাত্রীদিগের মধ্যে কেহ স্থার কমাইবার জন্ত নিজের অবস্থা সবিস্তারে ব্যক্ত করিতেছে। তাহাতে কিছু না হইলে কাদিতেছ, অবশেষে কাদিয়া কাদিয়া ক্লাস্ত হইয়া পায়ে ধরিতেছে । কিন্তু "চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী।” বরুণ। দেখুন পিতামহ । মহর্ষি গৌতম এই বটবৃক্ষের তলে বসিয়া ৬• হাজার বৎসর শিবের আরাধনা করেছিলেন । ইন্দ্র । বরুণ ! ঐ নির্দয় জন্তু, যাহাদের পদ ধরিয়া স্ত্রীলোকেরা রোদন করিতেছে, অথচ দয়া করিতেছে না, উহারা কে ? বরুণ । উহারাই গয়ালী । ইন্দ্র। গয়ালীদিগের উৎপত্তির কারণ বল। $ বরুণ এক সময়ে পিতামহ ব্ৰক্ষা গয়াধামে আসিয়া নিজ পিতৃগণের উদেশে እቈፃ