পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন ব্ৰহ্মা। ছি। ছি! পাটনা, তুমি বাঙ্গালীর জন্ত ধ্বংস হতে বলেছ। ইন্দ্র। কুলাঙ্গারেরা বাঙ্গালা পরিত্যাগ করিয়া এখানে আসে কেন ? বরুণ । পেটের জালায় । ব্ৰহ্মা। যমালয়ে কি এ-সব পাপীর জন্য কোন নরক আছে ? *আজ্ঞে না” বলিয়া দেবরাজ নিজ নোটবুকে লিখিয়া লইলেন। এখান হইতে যাইতে যাইতে বরুণ কহিলেন, “পাটনার অনতিদূরে হাজিপুর নামক একটি স্বান আছে। গরুড় যে গজকচ্ছপকে লইয়া নৈমিষারণ্যে যাইয়া ভক্ষণ করে, ঐ হাজিপুরের সন্নিকটে সেই গজকচ্ছপের যুদ্ধ হইয়াছিল। এক্ষণে ঐ স্থানের নাম হরিহর ছত্র। তথায় হরিহর দেবের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। প্রতি বৎসর হরিহর ছত্রে একটি করিয়া মেলা হইয়া থাকে । মেলায় বিস্তর হস্তী, অশ্ব, গাড়ী, ঘোড়৷ বিক্রয় হয় ।” এই সময় নারায়ণ অদূরে একটি বৃহদাকার পুষ্করিণী দেখিয়া কহিলেন, “বরুণ এই বৃহৎ পুষ্করিণী কাহার ?” বরুণ। লোকে উহাকে মাণিকচাদের পুষ্করিণী বলিয়া থাকে। উহা যে কতকালের এবং কাহার, আমি স্থির বলিতে পারি না । ক্রমে তাহারা সরস্বতী তীরে যাইয়া উপস্থিত হইলেন । সকলে দেখেন —পুষ্করিণীটির সমস্ত জলই শৈবাল, পান এবং কলুীলতাদি দ্বারা আচ্ছাদিত । চতুস্পার্থে বহুকালের বাধা ঘাটের ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান রহিয়াছে। পুষ্করিণীতে যে অতি অল্পমাত্র জল শৈবালাদি হইতে পৃথক হইয়া দেখা দিতেছে, তাহাতে অসংখ্য ভেক শাবকগণসহ সস্তরণ করিতেছে। কোন স্থানে শৈবালাদির উপরে বসিয়া দুই একটি ভেক নিৰ্ভীকচিত্তে সূর্য্যের উত্তাপ মুখে ভোগ করিতেছিল— লতাপাতার মধ্য দিয়া সুদীর্ঘ সৰ্প ধীরে ধীরে আসিয়া তাহাদিগের পদ ধরিয়া টানিয়া গ্রাস করিবার উদযোগ করিতেছে। ভেক অস্তিমকালে “ক্যা” “কো" শবে ডাক ছাড়িয়া আত্মরক্ষার সাধ্যমত চেষ্টা পাইয়াও নিষ্ফল হইতেছে। নারা । পিতামহের কি অনাস্বষ্টি ! ভেক এবং সৰ্পে যখন খাদ্যথাদক সম্বন্ধ, তাহাদের এরূপ একস্থানে বাসের ব্যবস্থা করা কি উচিত হইয়াছে ? ব্ৰহ্মা । ভাই ! আমার স্বই বস্তুর মধ্যে কোনটির সহিত কোনটির খাগুr খাদক সম্বন্ধ নয় । আমি ভেকদিগকে জল ও স্থল উভয় স্থানে বাসের উপযোগী ›ሳፀ”