"দেবগণের মর্ত্যে আগমন সহিত এবং পাজাম পায়ের সহিত এরূপভাবে সংলগ্ন হুইয়া আছে যে, দেখিলে বোধ হয় দরজীতে কাপড় চুরি করিবে এই আশঙ্কার গাত্রের মাপ না দিয়াই ঐ প্রকার সেলাই করান হইয়াছিল অথবা মহাবীর কর্ণের স্কায় সূর্বপ্রদত্ত বৰ্ম্ম সহিতই মাতৃগর্ত হইতে ভূমিষ্ঠ হইয়াছিলেন। w নারা । বরুণ ! বেহারে এত বাঙ্গালী কেন ? বরুণ। অনেকের পিতা এখানে বিষয়কৰ্ম্ম উপলক্ষে বাদ করিতেছেন । জার অনেক ছেলে দ্বিতীয় বিভাগে পাস হইয়া ছাত্রবৃত্তি পাইবার আশাৰ আসিয়াছে। ইন্দ্র । বাঙ্গালায় কি ছাত্রবৃত্তি নাই ? বরুণ । আছে, কিন্তু বেহারবাসীদিগকে উৎসাহ দিবার জন্য এ-প্রদেশে কিছু বেশী পরিমাণে দেওয়া হইয়া থাকে । দুঃখের বিষয়, বৃত্তিগুলির মধ্যে প্রায় সমস্তই বাঙ্গালী বালকগণ লইয়া যায় । * দেবগণ এখান হইতে এমামবাড়ীর সন্নিকটে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “এই স্থানে মহরমের সময় বড় ধুমধাম হইয়া থাকে ; তখন মুসলমানের "হাসেন হোসেন” শব্দে এমন জোরে বুক চাপড়ায় ও লাঠি ভরোয়াল খেলে যে, দেখিলে অবাক হইতে হয়। ওদিকে দেখুন কবরস্থান । ঐ স্থানে অনেকগুলি জলের ফোয়ারা আছে।” এই বলিয়া সকলে গুলজারবাগে যাইয়া যে দিকে চাহেন, দেখেন— শত শত লোক কাঠের বাক্স প্রস্তুত করিতেছে । ব্ৰহ্মা। বরুণ ! এই সমস্ত কাঠের বাক্সে কি হইবে ? বরুণ। চীনদেশের সর্বনাশের জন্য ইহার মধ্যে আফিং চালান হইবে । পিতামহ, আপনি বেছে বেছে এমন দ্রব্যও স্বষ্টি করেছিলেন ! ব্ৰহ্মা। ওদিকে ঐ বহুদূরবিস্তৃত একতালা কোঠায় কি হয় ? আর উহাতে অত শাস্ত্রী পাহারাই বা কেন ? বরুণ । ঐ হচ্চে আফিংয়ের গুদাম । ঐখানেই মাল আমদানী হয়ে জমে। চলুন, ভিতরে প্রবেশ করিয়া দেখাইয়া আনি। দেবগণ গুদামঘরে প্রবেশ করিয়া চাহিয়া দেখেন-কাটরায় ভাল তাল আফিং
- এক্ষণে বৃত্তিগুলি নূতন নিয়মে বিভাগ করিয়া দিবার বন্দোবস্ত হইয়াছে।
3*够