পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন শুভদৃষ্টি দিয়ে আসিগে । আমি বুড়ে মানুষ, গবর্ণমেণ্ট আফিসগুলি ব্যতীত পেরে উঠব না। তুই বাবা একবার রেলওয়েতে কটাক্ষপাত করে আয়, শুনেছি জামাগপুরে অনেক রেলওয়ে কেরাণী আছে, তাদের বক্ষ মুখ ; বৎসরে দুইবার মাইনে বাড়ে এবং যাতায়াতের পাশ পায়। তুই সেখানে গিয়ে একবার বাজারটা গরম করে দিয়ে আয় । তাহদের স্বখের পথে কণ্টক ফেল । ব্ৰহ্মা । বরুণ ! উপ বলে কি ? বরুণ। শনি বা কোন চালাক ! এখানকার বড়বাবুরা তার চেয়ে বেশী চালাক-তাকে ট্যাকে গুজে নস্ত করতে পারেন । বাবা ! রেলওয়ের বড়বাবুজের কাছে এসেছ দাত ফুটাতে ? জামালপুর দেবগণ গেট দিয়া বাহির হইয়া ষ্টেশনের গুদামঘরে কিছু সময়ের জন্ত উপবেশন করিলেন এবং বরুণ ও নারায়ণ বাসার অঙ্গুসন্ধানে চলিলেন । নারায়ণ ও বরুণকে বিদায় দিয়া দেবগণ বসিয়া গল্প করিতেছেন, এমন সময়ে রেলওয়ে ওয়ার্কসপের ( কারখানার ) ভোমা বিকটাকার শব্দে চিৎকার করিয়া উঠিল। সেই শব্দ শ্রবণে আমাদের পিতামহ লাফাইয়া উঠিলেন এবং দেবরাজকে কহিলেন, “পারলে ; ইন্দ্র । দেখছো কি ? দফা সারলে ! এতদিনে হাতে দড়ি পড়লো । জানি, ও ছোড়া খুনে—ওর কি দিগ্বিদিক জ্ঞান আছে ?” ইন্দ্র । ও কিসের শব্দ ঠাকুরদা ? ব্ৰহ্মা। বুঝতে পারছে না ? কৃষ্ণ পাঞ্চজন্ত শাক বাজাচে ৷ এখনি পুলিসের লোক ছুটে এসে সকলকে বেঁধে নিয়ে যাবে। এই সময় বরুণ ও নারায়ণ আসিয়া উপস্থিত হইলেন । নারায়ণ হাপিতে হাসিতে কহিলেন, “ঠাকুরদা ! উত্তম বাসা হয়েছে, সা-ফ্রেগুজের জোতালা ।” ব্রাহ্মা। এ কি তোমার কুরুক্ষেত্ৰ ? নারা হয়েছে কি ? ব্ৰহ্মা। তুমি কি বলে ইংরাজ-রাজ্যে এসে পাঞ্চজন্ত শাক বাজালে ? চেয়ে দেখ দেখি । রাজ্ঞা দিয়ে কত লোক ছুটচে। এখনি পুলিশ এসে বেঁধে নিয়ে গেলে কে আমাদের বৃক্ষা করবে ? - * * >伊鲁