পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন ভোমা বাজে। আমি কওঁ ভাতের খালা ফেলিয়া লাফাইয়া উঠে কহেন “প্রিয়ে ! এই রইল তোমার দুধ, আমার ভাগ্যে খাওয়া হলো না।” বলে চোখেমুখে একটু জল দিয়ে ও একটা কুলকুচে করে, পাণ একটা গালে ফেলে দে ছুট! ইন্দ্র। আহা! দুধ খেয়ে না যাওয়ায় গৃহিণীর তো বড় দুঃখ হয়! বরুণ। দুঃখ বলে দুঃখ! মাগী সমস্ত দিনটে পথে পথে দাঁপদাপি করে বেড়ায়, আর লোক ডেকে বলে "আহা! দুধটুকু খেয়ে গেল না,” “আহা! দুধটুকু খেয়ে গেল না গা ” ব্ৰহ্মা। এত কষ্টেও যদি বেলা হয়, তা হলে কি হয় ? বরুণ দ্বারের কাছে হাজিরার সময় লিখিবার জন্য নল, নীল, গয়, গবাক্ষের ন্যায় চারিজন আছেন। তাহারা একটু চিরকুট কাগজে বড়বাবুদের লিখে পাঠান ; বড়বাবুরা এসে মূখ খিচাইতে আরম্ভ করেন। ব্ৰহ্মা। বল, তারপর কি প্রকারে দিন যায় ? বরুণ। কাজকর্ম করতে যদি ভুলচুক হয়, সাহেব এসে নিগ্রহ করেন। আর যদি সেদিন কপাল পোড়ে—দু'এক রোজের বেতনও কাটা যায়। নিতাস্তই যদি কপাল ফাটে কর্মটিতে জল দিয়া নিশ্চিন্ত হয়ে বাসায় আসেন। ইন্দ্র । দিনটে যদি নির্বিঘ্নে কেটে যায়, এসে দুধ খেতে পান তো ? বরুণ। তাহারও স্থিরতা নাই ; হয় তো বাসায় এসে দেখেন, পরিবার কাঠে ফু পেড়ে পেড়ে চক্ষু লাল করে বসে আছেন। বাবু বাসায় এসে জুতা খুলে যেমন পা ধোবার উযোগ করেন, আমি সুমধুর স্বরে মিঠে গলায় হয় তো বলে উঠেন “পোড়াকপালে ! পা ধোবে কি ? আগে বাজার থেকে শুক্লো কাঠ কিনে আন— নচেৎ ভাতের তলো তোমার মাথায় ভাংবো।” বাৰু ভয়ে শুক্লো মুখে আবার জুতা পায়ে দিয়ে টিমাতে চিমাতে শুক্লো কাঠ কিনতে যান। নারা । আমি দেখচি-রাতটে ঘুমিয়ে যা মুখ পায়। বরুণ। তাতেই বা মুখ কৈ ? ঐ ভোমা বাজলে— ঐ ভোমা বাজলে ভেবে রাত্রে ঘুমের ঘোরে চমকে চমকে উঠে । ব্ৰহ্মা। উপ! তুই এত সকালে খেয়ে, এত কষ্ট সহ করে ভোমার চাকরি করতে পারবি ? এখান হইতে দেবগণ ব্যাগ হন্তে করিয়া বাসাভিমুখে চলিলেন। যাইতে obro