পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামালপুর বরুণ । দেখুন পিতামহ ! হিসাবী লোক ইংরাজের। মহাদের রাজত্ৰ থাকে, তাহাদের ঐরূপই হয়। বলবো কি—কি রাজা, কি ভিক্ষুক-সকলেরই পোষাক একরূপ। পোষাকষ্টে কে রাজা, কে চামার কাহার সাধ্য চিনে লয় ! আবার মাগীগুলোও তেমি, কতকগুলো কাকের পালক, বকের পালক মাজায় গুজে দিব্য হেসে খেলে বেড়াচ্চে। আর আমাদের এদের দেখবেন একটু পরেই ১৫, টাকা বেতনের কেরাণীরা দিব্য চোন ঝুলিয়ে কেরাণীগিরি করতে যাবে। তাদের পরিবারদেরও প্রতি বৎসর ১০১৫ ভরি গয়নার বায়না আছে । এই সময়ে আটায়-অফিসে-যাওয়া কেরাণীবাবুবা পঙ্গপালের মত রাস্তায় আসিয়া উপস্থিত হইল। দেবতারা একপাশ্বে সরিয়া দাড়াইলেন এবং নারায়ণ কহিলেন “উঃ বাবা ! এ যে পালকে পাল রে!” ব্ৰহ্মা। বরুণ! এই পৰ্ব্বতের মধ্যে জামালপুর। এখানে সন্ধান পেয়ে এত বাঙ্গালী কোথা হতে জুটল ? বরুণ । আঞ্জে, আজকাল প্রায় সকল বাঙ্গালীরই লক্ষ্য এক চাকরী। ব্রাহ্মণ বেদপাঠ ছেড়ে, বৈদ্য চিকিৎসা-ব্যবসা ছেড়ে, কুম্ভকার ও স্বর্ণকার হাড়িপেটা ও গহনা ছেডে, নাপিত ও মৎস্যজীবী ক্ষুর বুলান ও ক্ষ্যাপলা ফেলা ছেড়ে, ধোপা কাপড় কাচা ছেড়ে এই চাকরীর জগু লালায়িত। অতএব উহারা চাকরির গন্ধে যে জামালপুরে আসিবে, তাহা আর আশ্চর্ঘ্য কি ? ব্ৰহ্মা দেখ বরুণ ! আমার বাঙ্গালীদিগের এই আর একটি অবনতির কারণ। সকলে নিজ নিজ ব্যবসায় পরিত্যাগ করায় দেশে স্বাধীন ব্যবসায়ের লোপ হইতেছে। অপর দিকে, রাজাও সকলকে যে মনের মত চাকরী দিতে পারিতেছেন এমন বোধ হয় না। কিন্তু তুমি দেখিবে, এমন এক সময় উপস্থিত হইবে, যে সময়ে লোকে সামান্ত চাকরীৰ জন্য "হায়! হায়!” করিয়া বেড়াইবে এবং হাড়ী কলসী প্রভৃতি প্রত্যেক প্রব্যের জন্য অপর দেশের মুখাপেক্ষী হইয়া থাকিবে। রাজার মনোযোগ ভিন্ন এ-বিষয়ের উপায়াস্তর নাই। যাহা হউক, আমি দুঃখিত হইলাম যে, আমার বাঙ্গালীরা পূৰ্ব্বাপেক্ষ বিস্তাশিক্ষা বিষয়ে উন্নতি লাভ করিয়াও নিজের এবং দেশের কিলে হিত হয়, তা বুঝিতেছে না। নারা। আমার বোধ হয় বড়বাবুরা মনে করলে এ-বিষয়ের অনেক স্ববিধ করতে পারেন । বরুণ ! আটার বাবুজের বড়বাৰু আছে ? ծեր: