পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ । আছে। নারা । তারা কেমন ? বরুণ। এক তন্ম আর ছাই-দোষগুণ কম কার । নারা । বল না কেন, তারা কেমন ? বরুণ। পরে হবে। দাড়াও ভাই, আগে জামালপুর হতে পালাই। কি, জানি বলে কি শেষে গো-হাড় পাটখেল খেয়ে মরবো। দেবগণ সিড়ি তাঙ্গিয় দোতলায় গিয়া উঠিলেন এবং ছাদ হইতে জামালপুরের পৰ্ব্বতশ্রেণী দেখিয়া আনন্দানুভব করিতে লাগিলেন । উপ কাণ পাতিয়া ওয়ার্কসপের “ঝমাঝম” লোহা পিটান শব্দ শুনিতে লাগিল । তাহারা সেদিন আহারাদি করিয়া কিঞ্চিৎ বিশ্রাম লওয়ার পর জামালপুর ভ্রমণে বহির্গত হইলেন এবং সদ্ধার কিছু পূৰ্ব্বে সাহেব-পাড়ার মধ্যে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । উপস্থিত হইয় দেখেন – স্থানটি যেন অমরাবতী। প্রত্যেকে রেলওয়ে প্রদত্ত এক একটি বাড়ীতে বাস পাইয়াছেন, এবং মনের সাধে গৃহগুলি স্বসজ্জিত করিয়া মেমের সহিত যুগলবেশে উপবেশন করিয়া হাস্ত-পরিহাস করিতেছেন । মেমসাহেব কহিতেছেন “দেখ ডিয়ার টম, তোমার হাতে পড়ে খে টানাপাখার বাতাস খাব, টমটম হাকাব, এ আশা আমি একদিনও করি নাই ! আমার স্থির বিশ্বাস ছিল যে, আয়াগিরি করেই জীবন যাবে।” সাহেব বলিতেছেন *মাইডিয়ার মেরি, পেরিক্লিডের হাতে পড়লে তোমার দশা কি হইত ? সে তো তোমাকে প্রায় হাত করেছিল, তোমাদের উভয়ের যথেষ্ট “লভ”ও হইয়াছিল। কিন্তু তোমার ভাগ্য ভাল যে, আমার হাতে পড়িয়াছ। পেরিক্লিড এক্ষণে সেলারের কাৰ্য্য করিতেছে।” কোন গৃহে দেবগণ দেখেন, সাহেব বিবিতে তুমুল সংগ্রাম হইতেছে। সাহেব একখানি সংবাদপত্র স্বমুখে ফেলে বলচেন এই লাইনটে সোজা হয় নাই।” মেম কহিতেছেন “ঠিক সোজা হইয়াছে, বল তো আমি রুল ধরে দেখায়ে দিতে পারি।” কোন গৃহে সাহেব দুঃখ করিয়া মেমকে বলিতেছেন *এখানে ভাই, তোমাদেরই মুখ ; আমাদের দুঃখের কথা কি বলবো-সমস্ত দিন ওয়ার্কসপের হাতুড়ি পিটে গাত্রে এমি বেদন হয় যে, রাত্রে পাশ ফিরে শুভে পারিনে।” মেম বলিতেছেন "আহা! ’ মরে যাই, আগে এ কথা বল নাই কেন, আমি শূকরের চব্বি দিয়া মালিস করে দিতাম।” কোন গৃহে মেম কৌতুকচ্ছলে • כימי