পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামালপুর সাহেবকে বলিতেছেন “দেখ নাথ! আজ যখন তুমি কারখানা থেকে কালি-বুলি মেখে বাসায় এলে, আমি দেখে বড় ভয় পেয়েছিলাম। আমার লিটিল উত্ত তোমাকে ঘোষ্ট্র (Ghost) ভেবে মৃচ্ছ। যাবার মত হইয়াছিল। তোমার পায়ে পড়ি, এখন হতে তুমি রেলওয়ে ট্যান্ধে মুখ ধুয়ে তবে ঘরে এসো।” ইন্দ্র। বরুণ ! এরা কারা ? বরুণ। এরা ফিরিঙ্গী । ইন্দ্র । ইংরাজপটিতে ফিরিঙ্গীর বাস ? বরুণ। রাজপুরুষেরা ফিরিঙ্গাদিগকে বড় ভালবাসেন। বলেন আমাদের দ্বারাই তো ওরা ; কিন্তু ভাল ভাল সাহেবেরা ফিরিঙ্গীদের বড় ঘৃণা করেন। নারা। সাহেবপাড়ায় চল না ? বরুণ । ওদিকে বড় কুকুরের ভয়, আর একদিন নিয়ে যাব । উপ । ঠাকুর কাক ! আমি একটা বিলাতী কুকুরের বাচ্ছা নেব । নারা । তাই হবে। এখান হইতে একস্থানে যাইয়া দেবগণ দেখেন—একটি বাবু নিজ পুত্রকে ধমকাইয়া কহিতেছেন “যান, ভাত খেগে না, কে আবার তোর জন্যে প্রদীপ জেলে বসে থাকবে ।” বালক বলিতেছে “আজ আমায় একটু পড়বার তেল দিতে হবে। সন্ধ্যার সময় শুলে, পড়া হয় না-মাষ্টার বকে ” পিতা কহিতেছেন “পড়া হয় না তোর দোষে । তোকে আমি প্রত্যহ বলি—ভাত খেয়ে কেতাব হাতে করে পড়া বলে নেবার ছলে কাহারে প্রদীপের আলোয়, কি ষ্টেশনের আলোয় পড়ে আসৰি, তা তুই আনবিনে, আমি কি করবো। দেখ, ডুবাল রাস্তার আলোয় পড়ে বড়লোক হয়েছিল ** ব্ৰক্ষা। বরুণ ! ও বলচে কি ? বরুণ। লোকটা অত্যন্ত কৃপণ, তাই কি উপায়ে এক ছটাক তেল বাচাবে, তারই যোগাড় দেখচে । এখান হইতে দেবগণ রাসায় গিয়া পদ প্রক্ষালন করিয়া উপবেশন করিয়াছেন, এমন সময় একটি বাঙ্গালীবাবু যাইয়া উপস্থিত হইলেন। বরুণ র্তাহাকে সমাদর • জামালপুরে বােধ হয় বিস্তর কৃপণ আছে। ইহা বাপ-আঞ্চে খেতে দেন। ১৯১