পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন করিয়া বসাইলেন এবং কহিলেন “আপনার কি এখানে থাকা হয় ? মহাশয়ের নাম ? বাঙ্গালী । আমি এখানে অনেকদিন আছি, ট্রাফিক আফিসে কৰ্ম্ম কবি ; আমার বাসা ঐ সা-ফ্রেওদের দোকানের দক্ষিণ দিকের গলির মধ্যে। নাম শ্ৰীকাশীনাথ ঘোষাল। মহাশয়ের নূতন এসেছেন শুনে আলাপ করতে এলাম ; হয়েছে কি জানেন- এখানকার হতচ্ছাড়াদের সঙ্গে কথা কয়ে সুখ হয় না। কেবল কোম্পানীর কাগজ, সেভিং ব্যাঙ্ক ও বেতনবৃদ্ধির কথা নিয়েই আছে, এবং বড়বাবুদের ল্যাজে তেল দিচ্চে। আর কতকগুলো অভাগা মিলে একটা থিয়েটারের আড়া করেছে- সেখানে কেবল মদ গাজ আর হৈ হৈ । আপনাদের নিবাস ? বরুণ। আমাদের নিবাস অমরপুর। কাশী। অমরপুর অনেক আছে। এ অমরপুর কোথায় মহাশয় ? বরুণ। হরিদ্বারের অনতিদূরে। কাশী । সেখানকার ভাষা কি মহাশয় ? বোধ হয় বাঙ্গল ; কারণ, আপনারা বড় সুন্দর বাঙ্গালা বলিতেছেন । বরুণ । সে স্থানের ভাষা সংস্কৃত । তথাকার আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই সেই তাষাতে কথা কয় । কাশী। হবে বৈ কি। কেবল বাঙ্গালাতেই সংস্কৃত ভাষার লোপ হয়েছে। দিকে দিকে অষ্ঠাপি ঐ ভাষার বেশ সমাদর আছে। শুনা যায়, আমেরিকা প্রভৃতি স্থানে আজ কাল সংস্কৃত ভাষার বড় আদর। অমরপুর স্থানটা কেমন মহাশয় ? বরুণ। অতি মুম্বর স্থান। কাশী । তবু কি রকম ? সেখানে কি গবর্ণমেণ্ট এমন আলো দেয় ? বরুণ । সেখানে গবর্ণমেণ্ট যে কি, তাহা কেহ জানে না, এবং গবর্ণমেণ্টের জালো দিবারও আবশ্বকতা হয় না। কারণ, চন্দ্র স্বৰ্য্য সে দিক হতে উদয় হন ; স্বতরাং রাত্রি দিন সমান আলো থাকে। আমরা কখনো দিন রাত্রি স্বতন্ত্র বলিয়া অনুভব করতে পারি না এবং স্থানটির এমনি জলের গুণ, ক্ষুধাতৃষ্ণারও উদ্রেক হয় না । - عنه