পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগষন বরুণ। সেখানে যাইবার রাস্তায় আছে, স্থানটিতে নাই। অমরপুরে বাস্ত্র এবং হরিণ, সর্প ও মুষিক সকলেই সখ্যভাবে ক্রীড়া করিতেছে। কাশী । আপনারা জাতিতে কি মহাশয় ? বরুণ । কেন ? কাশী । রাঘব মল্পিক উপকে দেখে মেয়ে দিবার জন্য পাগল হয়েছেন । নারা। রাঘববাবু কি ততদূরে মেয়ে,পাঠাবেন। কাষ্ট্র। তিনি বলেন-দূর অদূর যুঝি না। কোনরূপে মেয়েটিকে পাজস্থ করে জাতিরক্ষা করতে পারলেই বাচি। হয়েছে কি জানেন মহাশয় । রাঘববাবু অতি সজ্জন, জাতিতে বৈদ্য, ২৫ টাকা বেতন পান। মেয়ে পাচটি। আজকাল আপনারা শুনে থাকবেন, বৈদ্যর সোনার বেণের উপর টেক্কা দিয়েছে । তারা এত দামে ছেলে বেঁচে যে, রাঘববাবুর মত সামান্ত লোকের কিনবার সঙ্গতি নাই। কিন্তু তাহার কন্যার বয়স হয়েছে, বিবাহ না দিয়াই বা কি করে নিশ্চিন্ত থাকেন ! স্বতরাং প্রতিজ্ঞা করেচেন, একটি পাত্র পেলেই কন্যা দান করবেন, দূর অদূর মানিবেন না । বরুণ। এখানে এত বৈন্ত আছেন, রাঘববাবু একটি পাত্র জোটাতে পারলেন না ? কাশী । বিবাহের বাজার আজকাল ভয়ানক গরম । শুনবেন তবে—রাঘব বাবুর জেঠা এখানে ভাল কাজকৰ্ম্ম করতেন। তিনি রামগোপাল গুপ্ত নামে একটা জংলাকে জঙ্গল থেকে ধরে এনে হাত ধরে “ক” “খ” লিখতে শিখিয়ে চাকরী করে দেন । এক্ষণে রামগোপাল বেশ দশ টাকা সংস্থান করেচে এবং একটা অকাল-কুষ্মাও ছেলেরও জন্ম দিয়েছে। রাঘববাবু কন্যাদায়গ্ৰস্ত হয়ে মনে মনে স্থির করলেন, এই সময় রামগোপালকে ধরলে সে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ কুষ্মাগুটি আমাকে প্রদান করতে পারে এবং আমার জাতি মান বজায় থাকে। এই ভেবে রাঘববাৰু রামগোপালের নিকট গিয়ে তাহার পা ছুখানি ধরে ভেউ ভেউ করে কঁদিতে কাদতে বরেন “রামগোপাল! ভাই রক্ষা কর, রক্ষা কর, আমার জাতি যায়।” রামগোপালের তাহাতে দুঃখ হওয়া দূরে থাক, বরং হাসতে হাসতে বয়ে “রাঘব! তুই কি পাগল হয়েচিস তাই আমার কাছে ছেলে চাচ্চিস-জনিস ঐ ছেলে আদি পাঁচ হাজার টাকায় বেচৰো ।” 38