পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামালপুর থিয়েটারে হনুমান লেজে লঙ্কা ডিঙ্গান দেখিয়ে বড়বাবুকে সন্তুষ্ট করে বেতন বৃদ্ধি করে নেবেন।” কোন বাসায় সমস্ত রান্ত্রি প্রদীপের আলোতে বসে বাবুরা “মাছ কাখুর" শব করছেন। আমি মহাশয় এক্ষণে প্রস্থান করি।” g ইন্দ্র । আমরা যে কয়েক দিন জামালপুরে থাকি, অনুগ্রহ করে এক একবার আসবেন । কাশীবাবুর প্রস্থান করার অব্যবহিত পরেই নারায়ণ ও উপ নীচে হইতে প্রত্যাগমন করিলেন। তখন দেবগণ শয়ন করিয়া গল্প আরম্ভ করিলেন । বিষয়— বর্তমান সময়ে বাঙ্গালীদিগের কত পরিবর্তন ঘটিয়াছে। এই গল্পে র্তাহাদের অধিক রাত্রি অতিবাহিত হওয়ার পর সকলেই নিদ্রাভিভূত হইলেন। প্রাতে নারায়ণ ব্যতীত সকলেরই ঘুম ভাঙ্গিল, কিন্তু অত্যন্ত শীত প্রযুক্ত কেহ আর লেপের বাহির হইলেন না । শয়ন করিয়াই গল্প করিতে লাগিলেন। ইন্দ্ৰ কহিলেন “পিতামহ । আমরা দেবতা, আমাদের কি এত সামান্ত বেশে কলিকাতা দর্শনে যাওয়া ভাল হচ্চে ? আমার বিবেচনায় কিছু জাকজমকের সহিত যাইলেই ভাল হইত।” ব্ৰহ্মা। আবস্তক কি ? আমরা গোপনে কলিকাতা দর্শনে যাত্রা করছি, জাকজমকের সহিত যাবার কোন আবশ্বক করে না। বিশেষ—আমরা যে মর্ত্যে এসেছি, ইহা সকলকে জানান উচিত হবে না। এই সময় ওয়ার্কসপের ভোমা বাজিয়ে উঠায় নারায়ণের নিদ্রাভঙ্গ হুইল, তিনি রাগভরে কত কি বলিলেন এবং বকিতে বকিতে আবার নিভ্রাভিভূক্ত হইলেন। তখন দ্বিতীয়বার আবার ভোমা বাজিয়া উঠিল । পুনরায় নিজা ভঙ্গ হওয়ায় তিনি অত্যন্ত চটিয়া গাত্রের লেপ দূরে নিক্ষেপ পূৰ্ব্বক দাড়াইলেন এবং বলিতে লাগিলেন “আমি অন্তই জামালপুর পরিত্যাগ করিব। বাপ ! এমন স্থানেও ভদ্রলোকে থাকে। ঘুমোবার যে নাই। আমি কপালক্রমে নিজ চক্ষে দেখেই ভোমার সন্নিকটে বাসা স্থির করে অন্যায় করেছি। বরুণ । উপরি-উপরি দুবার বাজায় কেন ?” বরুণ। একটায় জানায়-সময় হয়েচে-এল। দ্বিতীয়টায় বলে আর বিলম্ব হলে ঘরে নেব না । নারী । বেতন দিয়ে যেন কিনে রেখেছে ! মূখ হাত ধৌত করিয়া দেবগণ নগর ভ্রমণে বহির্গত হইলেন এবং কিছু দূরে ››ፄ