পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন যাইয়া রেলওয়ে হাসপালের নিকট উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, দেবরাজ ! সম্মুখে দেখ- রেলওয়ে দাতব্য চিকিৎসালয়। পূৰ্ব্বে এখান হতে কেরাণীদিগকে বিনামূল্য ঔষধাদি বিতরণ করা হইত। কিন্তু উহার প্রতিক্ষেপে দেশে গিয়া নূতন নূতন রোগ নিয়ে আসায় কোম্পানি বিরক্ত হয়ে ঔষধ বিতরণ এককালে রহিত করেছেন । ইন্দ্র। হাসপাতালের ভিতরটা কি প্রকার ? বক্ষণ। ভিতরে প্রবেশ করতে ভয় করে। বাঘেখেগো সাপেধোগা মৃতদেহ সকল সচরাচর আমদানী হওয়ায় প্রবেশমাত্রে বোধ হয় যেন ৫।৬ টা ভূত ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্চে । উপ। বরুণ কাকা! দেশী না বিলাতী ? বরুণ। দেখ দেখি এমন ছেলে মানুষকেও চাকরী করতে পাঠায় ? ভূত আবার দেশী না বিলাতী ! উপ। দোহাই বরুণ কাকা! বল না ? বরুণ। ভাল বালাই! ওরে-দেশী বিলাতী দুইরকম তৃতই আছে। উপ। আমি দেখবো ? বরুণ। কি দেখবি ? উপ। দেশী ভূত ? ব্ৰহ্মা। বলতে নাই ; পীড়া না হলে কি ভূত দেখে ? কিছু দূর গিয়া বরুণ কহিলেন দেখুন পিতামহ! সম্মুখের ঐ বাড়ীটি মেকানিক ইনষ্টিটিউট। ঐ গৃহে রেলওয়ে সাহেবদিগের নৃত্যগীত হয়। এইটিই রেলওয়ের পুস্তককালয় ।” ইন্দ্র। এ একটা রেলওয়ে কেরাণীদিগের মহৎ মুখ । তাহারা নানারূপ পুস্তকাদি পাঠ করতে পায়। বরুণ। বাঙ্গালী কেরাণীদিগকে পুস্তকাদি পাঠ করতে দেওয়া হয় না। তাহারা ময়লা হাতে পুস্তকগুলিকে ময়লা করে ফেলে বলে পুস্তক দেওয়া বদ্ধ করা হয়েছে। - ক্রমে দেবতার সাহেবপাড়া দেখিতে দেখিতে একবারে হরিসভা-গৃহে যাইয়া উপস্থিত হইলেন। বরুণ কহিলেন “পিতামহ। এই জামালপুর হরিসভা। שלל.