পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামালপুৰ এই গৃহে প্রত্যেক শনিবার ও রবিবার হরির উপাসনা, ভাগবত পাঠ, স্তোত্র এবং হরিসংকীৰ্ত্তন হয়ে থাকে।” ব্ৰহ্মা। কলির যেটা প্রধান অঙ্গ, তা দেখচি হয়েছে অর্থাং কলিকালে গ্রামে গ্রামে, নগরে নগরে হরিমওপ প্রতিষ্ঠা হবে এবং লোকে দিনান্তে একবার মাত্র *হরেকৃষ্ণ হরেরাম” এই কয়েকটি কথা উচ্চারণ করিলেই সৰ্ব্বপাপ হতে মুক্ত হবে। পূৰ্ব্বকার মুনি ঋষিরা শত বৎসর তপস্যা করে যে ফল প্রাপ্ত না হতেন, কলির মমুন্যেরা একবারমাত্র হরিনাম ও হরিসংকীর্তন করে সেই ফল প্রাপ্ত হবেন। “তপ: পরং কৃতযুগে ত্রেতায়াং জ্ঞানমুচ্যতে। দ্বাপরে যজ্ঞমিত্যুচুৰ্নাম চৈকং কলে যুগে ॥” এখন হইতে দেবগণ ঘোড়দৌড়ের মাঠে গিয়া উপস্থিত হইলেন এবং বরুণ কহিলেন, “এই ময়দানে প্রতি বৎসর নববর্ষ উপলক্ষে সাহেবদিশের অনেক আমোদ প্রমোদ হয়ে থাকে। সেই সময়ে ঘৌড়দৌড় হর বলে ঐ দেখুন কাঠের রেলিং অদ্যাপি বর্তমান রহিয়াছে। ঐ যে সম্মুখে পাহাড় দেখিতেছেন, উহার উপর তেঁতুল-তলায় পাহাড়ে কালী আছেন। তিনিই জামালপুরের একমাত্র গ্রাম্য দেবতা। পাহাড়ে কালীর সন্নিকটে পৰ্ব্বতগাত্রে একটি গুহা আছে। তাহাকে লোকে মুনিকোটর কহে। অনেকের সংস্কার আছে—ঐ কোটরে বসিয়া কোন সময়ে মুনি তপস্যা করিতেন। এখন হইতে দেবতারা বাসায় চলিলেন । যাইতে যাইতে এক স্থানে উপস্থত হইয়া নারায়ণ কহিলেন “বরুণ! সম্মুখে দেখা যাচ্চে ওটা কি ?” বরুণ । ইংরাজদিগের ভজনালয় । উহার নাম চর্চ । ইন্দ্র। ওদিকে দেখা যাচ্চে ওটা কি ? বরুণ । উহাও একটি চর্চ। ৭ারা। কতগুলো চর্চ ? বরুণ। দুইটা। একটা রোমান-ক্যাথলিক, অপরটা প্রেটেষ্টাণ্ট অর্থাৎ আমাদের যেমন শাক্ত ও বৈষ্ণব, উহাদেরও তেমনি দল আছে। ইহার পর সকলে বাসায় গিয়া আহারাদি করিলেন। যখন তাহারা জাহারান্তে খড়কে থাইতেছেন, তখন শ্রমজীবীদিগের স্ত্রীলোকেরা স্বামী ও পুত্রকে আহার করাইবার জন্য গামছায় ভাত বাধিয়া জলের ঘটি হন্তে রাস্ত দিয়া দুটোছুটি করিয়া ծ5թ