পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেৱগণের মর্ত্যে আগমন শব্দের ঢেউ উঠতে লাগিল । একজন কহিলেন “কেন ন-চাকরী হবে, সকলেরই যখন হোচে উহারও হবে । ২৪ বৎসর বাস করে থেকে কোন অফিসে কাজ কৰ্ম্ম শিক্ষা করলে আলবৎ চাকরী হবে।” দেবগণ দেখিলেন, এখানে কোন ফল হইবে না ; অতএব কাশীবাবুর সহিত সকলে গাত্ৰোখান করিলেন। র্তাহারা ডাকঘরের নিকট দিয়া যাইয়। যেমন রেলওয়ে লাইনের গেটের নিকট উপস্থিত তুষ্টলেন, অমনি গেটম্যান গেট বন্ধ করিল। কারণ, এই সময় একখানি গুডস ট্রেণ রওনা হইবে বলিয়৷ বংশীর দ্বারা সঙ্কেত করিক্তেছিল । গেট বন্ধ হওয়ায় অগত্যা সকলে গেটের বাহিরে দাড়াইয়। রছিলেন। কাশীবাবু কহিলেন, “দেখলেন মহাশয় । চাকরীর বাজার কিরূপ। মুরুব্বি না থাকলে আজকাল কিছু হবার যো নাই। বাবুর; যে উপায়ে চাকরী হবে বলে দিলেন-ও উপায় আমিও বলে দিতে পারি। স্পষ্ট এখানে কিছু হবে না’ না বলে কেমন কৌশলে নিরাশ্বাস করা হ’ল দেখুন। মনের ভাব, কেহ এখানে ৪ বৎসর বাসা করে থাকতে পারবে না, উগদিগকে কৰ্ম্ম কাজ করে দিতেও হবে না । যাহা হউক, ট্রাফিক অফিসের এক দেচোবাবু এবং অডিট আফিসের এক ন-বাবুর সহিত আমার বিশেষ বন্ধুত্ব আছে, দেখি যদি তাহাদের দ্বারা কোন উপায় হয় ।” এই সময় “ঝাৎ ঝম, ঝাং ঝমা” শব্দে গুড ট্ৰেণখানি বাহির হইয়া গেল। গেটম্যান অমনি “র্ক্য কোচ” শকে গেট মুক্ত করিয়া দিল । দেবক্সর গল্প করিতে করিতে ব্রাহ্মসমাজের সম্মুখে উপস্থিত হইলে কাশীবাৰু কহিলেন “সম্মুখে দেখুন-জামালপুরের ব্রাহ্মদিগের মঠ ।” উপ । ঠাকুর কাকা, চল না, মঠের মধ্যে কি ঠাকুর আছে দেখে আসি । নারা। কাশীবাবু সন্ধ্যা হয়েছে, একটু অপেক্ষা করুন, আরতি দেখে যাই । কাশী । আঞ্জে, ব্রাহ্মেরা জ্যোতিৰ্ম্মর, কিরণময়, আলোর স্বরূপ, নিরাকার ঈশ্বরের উপাসনা করেন ; সুতরাং মঠে কোন প্রতিমূৰ্ত্তি নাই। ঈশ্বরকে আরক্তি করার পদ্ধতি ব্রাহ্মশাস্থে উল্লেখ নাই, তবে যদি ভবিষ্কৃতে হয় বলতে পারি না । সন্ধা দিবার নিমিত্ত রবি, ও বুধবার ভিন্ন দ্বার উদঘাটন হয় না । ইন্দ্র। রবিবারে দ্বার খুলিয়া রাখিবার কারণ কি ? কাশী । সকলেই ইংরাজ সরকারে কাজকৰ্ম্ম করেন, মন্তবারে সুবিধা হয় ন। রবিবারে আফিস বন্ধ থাকে, এজন্ত ঐ দিন অনেক রাঞ্জি পর্যস্ত আমোদ co e $