পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন দূরে বাইয়া উহার দেখেন, কতকগুলি লোক রাস্তায় দাড়াইয়া রোদন করিতেছে। একজন বলিতেছে, “পুত্রের অঙ্গপ্রাশনের সমস্ত প্রস্তুত, কিন্তু ছুটি পেলাম না। বঙ্গে বলে—ছেলের মুখে জাবার শুভক্ষণে অন্ন দিবে কি ? খেতে শিখলে আপ্লিই হাতে করে খাবে।” আর এক ব্যক্তি কহিল “আগামী পরশ্ব মাতার শ্ৰাদ্ধ। মৃত্যুকালে মার চরণ দর্শন অভাগার ভাগ্যে ঘটে নাই। এক্ষণে ছোট ভাই সমস্ত আয়োজন করে আমাকে যেতে লিখেছে। কিন্তু ছুটি চাইলে বলে কি জান – তোমার ভাই আছে যখন, সেই সব করবে, তুমি আবার কি করতে যাগে ? যদি যাও একেবারে যেতে পার।” আর এক ব্যক্তি উচ্চরবে কাদিয়া কহিল “গুমা মাগো ! প্রাণ যায় যে । আহে । আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতা ক্রমান্বয়ে পত্র লিখচে, দাদা ! মাকে গঙ্গাযাত্রা করান হয়েচে । তিনি ২৪ দিন বাচেন কি না সন্দেহ । তাহার একান্ত ইচ্ছা অস্তিমকালে একবার আপনাকে দেখেন । অতএব পত্রপাঠ সত্বর আসিবেন, কোন মতে বিলম্ব করিবেন না; কিন্তু ছুটি দিচ্চে না । বল্পে বলে –এবৎসর পীড়ায় তোমার সাতদিন কামাই থাকায় ছুটি পেতে পার না। তবে যদি একেবারে কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করে চলে ধেন্তে পার তো যাও। উঃ ! কি করি ?-আমার দেখচি ত্রিশঙ্কু রাজার স্বর্গারোহণ হলো । না গেলে মাকে দেখতে পাব না। গেলে চাকরী যাবে, একটা বৃহৎ সংসার অনাহারে মারা যাবে।” এই সময় একটি যুবাকে আসিতে দেখিয়া তাহারা আগ্রহের সহিত জিজ্ঞাসা করিল, “দাদা, তোমার ছুটির কি হ’ল ?” যুব কহিল “বরে পূজার বন্ধে বাড়ি গিয়ে বিয়ে করে এলো । তোমরা আমদের বিনায়ুমতিতে বিবাহের দিন স্থির ও সমস্ত আয়োজন কর কেন ?” ইন্দ্র একটি দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিলেন—“হা রে চাকরী ! হা রে পয়সা ।” দেবতারা এখান হইভে অডিট আফিসে যাইয়া উপস্থিত হইলেন। তাহার দেখেন, একটি গৃহমধ্যে “ঘটম্বট ঘটাম্বট” শবে টিকিট প্রস্তুত হইতেছে। বরুণ কহিলেন “দেবরাজ, আমরা যে টিকিট খরিদ করে ট্রেণে উঠি, চেয়ে দেখ সেই টিকিট প্রস্তুত হচ্ছে। আর গাড়ি হতে নামিয়া যে টিকিট প্রত্যপণ করি-ওদিকে দেখ, সেই সমস্ত টিকিট অগ্নিতে ভস্ম করিয়া ফেলিতেছে।” এই সময়ে আফিসের ভিতরে ক্রদনের শব্দ উঠিল। দেবতারা শুনিলেন, যেন R or