পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামালপুর ইন্দ্র। মেল লাইন কি ? কাশী । অর্থাৎ স্রোতস্বতী নদী। ঐ লাইন দিয়া অনবরত গুডস, প্যাসেঞ্জার, মেল প্রভৃতি নানা নামের নানা ট্রেণ অহোরাত্র গমনাগমন করিতেছে। ব্রাঞ্চ লাইন অর্থাৎ শাখা নদী। এই নদী দিয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ট্রেণ একখানি যায়, একখানি আসিয়া থাকে মাত্র । - এখান হইতে সকলে ষ্টেশনের প্লাটফরমে যাইয়া দেখেন, কোন গৃহে সাহেবদেল খানা থাইবার দোকান সাজান রহিয়াছে, কোন গৃহে কৃপাকার কাগজপত্র ছড়ান রহিয়াছে, দুই জন কেরাণী বসিয়া লিখিতেছেন। পরিশেষে তাহার একটি গৃহের নিকট উপস্থিত হইয়া দেখেন । এটা টেলিগ্রাফের কল রহিয়াচে, পাচসাতজন বাবু কলের কাটার প্রতি একদুষ্টে চাহিয়া আছেন এবং মধ্যে মধ্যে কলের হাণ্ডেল ধরিয়া ঘটুঘট শব্দ করিতে করিতে ডাইনে বামে হ্যাচক টান মারিতেছেন। কাশীবাবু কহিলেন “এই হচ্ছে টেলিগ্রাফের ঘর। আর ঐ বাবুরা তার-ঘরের বাৰু। এই টেলিগ্রাফ যন্ত্র দ্বারা আমরা এক মুহূর্তে একশত মাইল দূরের ঘটনা জানিতে পারি। এমন আশ্চর্য কল আর নাই। ইহার সাহায্য ব্যতিরেকে রেল গাড়ি এক পা চলিতে পারে না । গাড়ি প্রত্যেক ষ্টেশনে আপিয়াই রাস্ত পরিষ্কার আছে কি না, ইহার নিকট জানিয়া তবে রওনা इग्न ” ব্ৰহ্মা । আহা! তারঘরের বাবুদের মত দুঃখী বোধ হয় জগতে আর নাই। সমস্ত রাতদিন বকের মত একদুষ্ট্রে চাহিয়া থাকা কি কম কষ্ট ! বরুণ, কি পাপে ইহার এ অবস্থা ভোগ করিতেছেন ? - বরুণ। আপনার স্মরণ থাকিতে পারে, এক সময়ে ভগবান অনন্তদেব মৎস্তরূপে জন্মগ্রহণ করিয়া জলে বাস করিতে থাকেন। ঐ সময়ে কতকগুলি লোক সমুদ্র-তীরে বসিয়া মৎস্ত ধরিতেছিল। দৈবযোগে নারায়ণ যখন তাহাদের চারের নিকট দিয়া পাখনা নাড়িতে নাড়িতে ফাসিয়া যান, র্তাহার পাখনা স্পর্শে এক ব্যক্তির ছিপের ফাতনা ডুবিবার উপক্রম হইলে, সে এমন সজোরে হ্যাচক টান মারে যে, ভগবানের শরীরে অভ্যস্ত আঘাত লাগে ; তাহাতে তিনি ক্রুদ্ধ হইয়া ভস্ম করিতে উষ্ঠত হইলে তাহার করযোড়ে দাড়াইয়া অশ্রপাত করিতে লাগিল । ইহাতে করুণাময়ের মনে করুণার সঞ্চার হওয়াতে কহিলেন—

  • > 》