পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামালপুর অধীনে ২১ জন কেরাণী আছে। আমরা কখনই ছোটবাবুদের সহিত হিমে বলে আসেল্কো লুচি লবণ-টাকনা দিয়ে খাব না। হয় আমাদের বড়বাবুদের সহিত একত্রে বসাও, নইলে চলে যাব।” অপর কহিল ষ্টুপিড } এখনি চলে যা। তোর স্পৰ্দ্ধা তো কম নয়। সসাগরা-জামালপুরাধীশ্বর মহাপ্রতাপাম্বিত বড়বাবুদের প্রসাদে তুই ক্ষুদ্রতম বড়বাবু পদে অধিষ্ঠিত আছিল, সেই মহাত্মা-বেতন বৃদ্ধি, পাশ ও ছুটি দেবার বিধাতাদিগের সহিত একত্রে বসে আহার করতে ইচ্ছা করিস ? ধিক । ধিক ! তোরা কি জানিসনে, অনেক সাধ্যসাধনা, অনেক ভজনপূজন উপাসনা ও তেল না দিলে বড় হওয়া যায় না ? নরাধম! তুই আজ যে পাপ করলি—হয় তো এই পাপে কালই তোর চাকরী যাবে। তার প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের গচ্ছিত টাকা উঠিয়ে নেওয়া ভার হবে ।” দেবগণ দেখেন, এই সময় কাশীবাবু পকেট হইতে একটি টাকা বাহির করিয়া ঘন ঘন তাহাকে চুম্বন করিতেছেন এবং কখন মস্তকে, কখন কপালে, কখন বক্ষে ধারণ করিয়া কহিতেছেন—’হে টাকা! হে মূদ্ৰা ! হে মহারাজীমহারাজ মুখমণ্ডলশোভিত-শ্বেতবর্ণ গোলাকারমূৰ্ত্তি ! তোমাকে শতশত প্ৰণাম করি। তুমি যাহার গৃহে বিরাজ কর, স্বদে আসলে তাহাকে অনেক প্রসব করিয়া দেও ! তুমি চারি যুগ সমভাবে নিজ ক্ষমতা বিস্তার করিভেচ্ছ। তুমি মর্ত্যে জাজল্যমান দেবতা । তোমার দয়ায় লোকে স্বৰ্গসুখ ভোগ এবং তোমার বরুণ বিনে নরক-যন্ত্রণ ভোগ করে। তোমার ক্ষমতা অসীম—তুমি ভ্ৰাতায় ভ্ৰাতায় বিবাদ ও মুখ দেখাদেখি বন্ধ করিয়া দিতে পার । তোমার কুহকে প্রবঞ্চলের প্রবঞ্চনা করিয়য়া অপরের বিষয় লইতেছে । তোমার গুণে ভাগুর ভাত্রবধূকে বিষদানে প্রাণে মারিতেছে। তোমার মহিমায় অনেকে খুড়ী জেঠিকেও বেষ্ঠাপবাদ দিতে ছাড়িতেছে না। তোমার গুণে কেহ কেহ পিতৃবধপাপে নিমগ্ন হুইয়া সিংহাসন লইতেছে। তোমার গুণে আপন পর ও পর আপন, সাধু অসাধু এবং অসাধু সাধু হয়। তোমার কৃপায় দোষী নির্দোষ এবং নির্দোষও দোষী হইয়া রাজস্থারে দ্বও পাইয়া থাকে। তোমাকে পাইবার জন্তু লোকে জলে জনলে সমরক্ষেত্রে এবং ব্যাঘ্র ভল্লুকের মুখে যাইতে ভীত নহে। তোমাকে পাইবার আশায় অনেকে জাভ্যস্তর ও ধর্শ্বাস্তর গ্রহণ করিয়া পিতা মাতাকেও a Se