পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মৰ্ত্তো আগমন এখান হইতে দেবগণ প্রত্যাগমন করিবার সময় একস্থানে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন “পিতামহ । সম্মুখে দেখুন এসিষ্ট্যান্ট স্বপারিন্টেণ্ডেণ্ট আফিস অর্থাৎ সমস্ত কারখানার কর্তা সাহেবের আফিস ; ঐ আফিসটিতে কতকগুলি বাঙ্গালী বাৰু আছেন। সমস্ত কারখানার ও লোকোমটিভ ডিপার্টমেন্টের আর একজন বড় কর্তা এবং তাহার সাহায্যকারী একজন ছোট কৰ্ত্ত সাহেব আছেন। তাহারা ওদিকে ঐ দোতলায় থাকেন। ঐ বড় কর্তাদের অধীনে কতকগুলি অফিস আছে যথা—ম্পারিন্টেণ্ডেণ্ট ইত্যাদি। ঐ বড় কর্তাকে ইংরাজিতে লোকোমটিভ সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট কহে । তাহার অধীন অফিসগুলিতে কতকগুলি সাহেব এবং বিস্তর বাঙ্গালী কাজকৰ্ম্ম করিতেছে । উপ। কৰ্ত্ত জেঠ, হঠাৎ আমার পশ্চাৎদেশে একটা ফোড়া হয়ে এমি টনটন কবৃচে যে, দাড়াতে পাচ্চি না। শীঘ্র বাসায় চলুন। এই কথায় দেবগণ অভ্যস্ত ভীত হইলেন । নারায়ণ কহিলেন “শুনিয়াছি এ দেশে ধ্বস নামে একপ্রকার পশ্চিমে রোগ হইয়া থাকে। ঐ রোগ প্রথমে ফোড়ার আকারে দেখা দেয় এবং সমস্ত অঙ্গে চলে চলে বেড়ায়। যে স্থান হইতে যে স্থানে চলিয়া যায়, সেই সমস্ত স্থানের মাংস পচিয়া ধসিয়া পড়ে। অতএব আমাদের উপর যদি সেই রোগ হয়ে থাকে, ইহাকে ফেরত পাওয়া স্ব কঠিন হবে!” নারায়ণের কথা শুনিয়া দেবতারা অত্যন্ত ভীত হইলেন এবং আফিস দেখা বন্ধ করিয়া ধীরে ধীরে বাসায় চলিলেন, এই সময় তাহারা শুনিলেন-এক ব্যক্তি নিজ পুত্রকে কহিতেছে, “বাবা! বড়বাবুর ছেলে এসেছে শুনেছ ?” পুত্র। হ্যা—শুনেছি। পিতা। একবার দেখা করতে যেও ? পুত্র । যাব। পিতা। একসের সন্দেশ নিয়ে গিয়ে বাবুব ছেলের হাতে দিও, তাহা হইলে বড়বাৰু সন্তুষ্ট হবেন। পুত্র। তা আমি পারবো না। পিতা। বলিল কি ! য়্যা ! পারবি না ? পুত্র। হ্যা ! আমি পারবো না। তুমি তোৰামোদ করচে বলে কি গুষ্টিশুদ্ধকে তোষামোদ করতে হবে ? Հ ֆԵ»