পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামালপুর পিতা দেবগণের প্রতি চাহিয়া কহিল -এ হলো কি ? য়্যা ! পিতার কথাও পুত্রে রাখে না? ছেলের চেয়ে আমর মেয়েটি ভাল, সে এই শীতে তোরে উঠে রাশি রাশি পান তৈয়ের করে ও বাদাম ভেঙ্গে রাখে। তাই আমি পকেটে করে নিয়ে গিয়ে বড়বাবুকে লুকিয়ে লুকিয়ে দিয়ে ১৯ হইতে ৪৫ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি করে নিয়েছি।” দেবগণ বাসায় যাইয়া কাশীনাথবাবুর অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। কাশীনাথবাবু আসিয়া পীড়ার কথা শুনিবামাত্র কহিলেন “মহাশয়েরা মুঙ্গেরে যান।” ইন্দ্র। কেন বলুন দেখি ? কাশী । অস্থানেতে ফোড়া, বড়ই ভাবনার কথা ! ব্ৰহ্মা। মুঙ্গেরের ট্রেণ কখন পাওয়া যায় ? কাশী। একটার সময় অফিস-ট্রেণ আছে। চলুন আপনাদিগকে তুলে দিয়ে আসি । দেবগণ এই কথায় তলপীতলপা উঠাইয়া' ষ্ট্রেশন অভিমুখে চলিলেন। কাশীনাথবাবুও তাহাদিগকে উঠাইয়া দিবার জন্য পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন। সকলে মুঙ্গের প্লাটফরমে বসিয়া আছেন, এমন সময়ে টিকিট দিবার ঘণ্টা দিল। কাশীনাথ ৰাবু যাইয়া ছয় পয়সা মূল্যের পাঁচখানি টিকিট খরিদ করিয়া আনিলেন। ক্রমে মুঙ্গের-ট্রেণ আসিয়া উপস্থিত হইল। দেবগণ ট্রেণে উঠিয়া কাশীনাথবাবুকে কহিলেন “আপনি অতি সৎ ও ভদ্রলোক। আপনাকে ছাড়িয়া যাইতে আমাদিগের কিছুমাত্র ইচ্ছা হইতেছে না। খুব সাবধানে থাকিবেন এবং ধৰ্ম্ম বিষেয় দৃঢ় আস্থা রাখবেন। আপনি ধনাভাবে বিশেষ কষ্ট পাইতেছেন, কি করিবেন,—অষ্ট্রের উপর নির্ভর করিয়া যখন যে অবস্থায় থাকেন তাহাতেই সন্তোষ প্রকাশ করিবেন, কদাচ মনে দুঃখ করিবেন না। আমাদের আশীৰ্ব্বাদে আপনি এক সময়ে, যথেষ্ট মুখী হইবেন। প্রস্তাহ জামালপুর পাহাড়ের সন্নিকটে ভ্রমণ করিতে যাইয়া অনুসন্ধান করিবেন, কারণ, প্রস্তরমধ্যেও বহুমূল্য হীরকাদি থাকিবার সম্ভাবনা।” দেবগণ দেখিলেন—এই সময় একটি বাবুর খাট পালঙ্ক এবং গৃহস্থালীর অনেক দ্রব্যাদি মুটিয়ারা বহন করিয়া আনিতেছে। সৰ্ব্বশেযে বাবু এক অবগুণ্ঠনাবৃত স্ত্রীর হাত ধরিয়া আসিতেছেন এবং তৎপশ্চাৎ পশ্চাৎ একটি ৮৯ বৎসরের বালক আসিতেছে। তাহারা আরও দেখিলেন—অনেকগুলি কেরাণী--কাহারও হাতে āᎼᏑa