পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরাবতী কয়েক বৎসর গত হইল, পৌষ মাসে একদিন শচীপতি ইন্দ্র নিজ বৈঠকখানায় বরুণসহ উপবিষ্ট ছিলেন । শীতকালে পৃথিবীতে জলের তাদৃশ প্রয়োজন নাই বলিয়াই হউক কিংবা অপর কোন কারণে, তখন জলাধিপতি কিছুদিনের ছুটি লইয়৷ বাটি আসিয়াছিলেন । বহুদিনের পর প্রবাস হইতে বাটি আসিয়া বেকার অবস্থায় বসিয়া থাকাও বড় কষ্টকর, এজন্য তিনি প্রত্যহ দেবরাজের নিকট আসিয়া দাবা খেলিতেন । অদ্য খেলা বন্ধ করিয়া পরস্পরে অনেক প্রকার গল্প হইতেছিল এবং ঘন ঘন পান-তামাক চলিতেছিল। কথায় কথায় ইন্দ্ৰ কহিলেন, “বরুণ ! সভ্য, ত্রেতা, দ্বাপর যুগ গত হইয়াছে, এক্ষণে কলিও যায় যায় ; পূৰ্ব্বকালের রাজার অশ্বমেধ প্রভৃতি যজ্ঞ উপলক্ষে আমাদিগকে আহবান করিতেন, তজ্জন্য সময়ে সময়ে আমাদের মর্ত্যভূমি-দৰ্শন ঘটিত ; কিন্তু সম্প্রতি সে-সমস্ত যাগযজ্ঞ নাই, আমাদেরও যাওয়াটা একপ্রকার রহিত হইয়াছে। এখন লোকে সামান্য সামান্য কৰ্ম্ম উপলক্ষে ‘ওঁ প্রজাপতে’, ‘ওঁ ইন্দ্রাদি-দশদিকপাপেভ্য: বলিয়া স্মরণ করে বটে, কিন্তু যাইয়া পাছে সম্ভোষকর আহারাদি না পাই, তাই ভাবিয়া যাইতে নিরস্ত হইয়াছি। তুমি সৰ্ব্বক্ষণ পৃথিবীতে থাক । কারণ, তোমাকে তথায় সৰ্ব্বদেশে, সৰ্ব্বস্থানে সৰ্ব্বজনকে যথাসময়ে জল যোগাইতে হয় । অতএব বল দেখি, এক্ষণে মর্ত্যের রাজা কে ?” বরুণ কহিলেন, “ইংলণ্ডনামক-দ্বীপবাণী ইংরাজ নামে এক জাতি আছে; সম্প্রতি তাহারা ভারতে আসিয়া একাধিপত্য বিস্তার করিয়াছে। এ-প্রকার বুদ্ধিমান ও প্রতাপশালী রাজা আমি কখন কোন যুগে চক্ষে দেখি নাই । পৃথিবীর মধ্যে এমন স্থান নাই, যেখানে ইহাদের রাজ্য নাই। স্বর্গে ইংরাজাধিকৃত স্থান নাই বটে, কিন্তু সত্বরেই বোধ করি, স্বৰ্গরাজ্যও ইংরাজরাজের করতলগত হইবে।” ইন্দ্র হান্ত করিয়া কহিলেন, “বরুণ ! তুমি নিতান্ত বালকের স্থায় কথা কহিতেছ। স্বর্গে ইংরাজের আসিবার পথ কই ?” বরুণ | পথ না জানাতেই এতদিন ইংরাজেরা এখানে আসিতে পারে নাই, কিন্তু তাহার যে-প্রকার ফিকিরবাজ ও নাছোড়বাম্বা দেখিতেছি, তাহাতে বেশ? বোধ হইতেছে যে, শীঘ্র.পথটা না জানিয়া তাহারা আর ছাড়িবে না। তাহারা ३€