পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুঙ্গের উপ। বরুণ কাকা! গাঙ্গুলিদের খামার বাড়ার দেওয়ালের মত দেখা যাচ্চে ওটা কি ? বল না বরুণ কাকা । বরুণ। দেবরাজ! চেয়ে দেখ সন্মুখে মুঙ্গের কেল্লা। ইন্দ্র। এ কেল্লা নিৰ্ম্মাণ করে কে ? বরুণ। লোকে বলে—এ কেল্লা জরাসন্ধ রাজার ছিল। তৎপরে মুসলমানদিগের সময়ে নবাব হোসেনের হস্তগত হইয়া সা সুজার হস্তে যায়। পরে মীরকাসিমের সময় ইহার পুনরায় সুন্দরস্কপে মেরামত হয়। এক্ষণে ইহা ইংরাজের অধীনে আছে এবং ইহার প্রশস্ত ক্রোড়ে কতকগুলি ইংরাজ সদাগর বাস করিতেছে। তদ্ভিন্ন মুঙ্গের জেল, আফিস, আদালত ও চর্চ ইত্যাদি এই ফোর্টের মধ্যেই আছে। ক্রমে সকলে কেল্লার সন্নিকটে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “ওদিকে দেখ—ইংরাজদিগের গোরস্থান ।” নারা । কবর স্থান তো বড় সুন্দর স্থানে নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছে। বলিতে কি—একেবারে গঙ্গাগর্ভে। এই সমস্ত কবরে যে কোন পাপী থাকুন, নিংসন্দেহ তিনি গঙ্গালাভ করিয়া উদ্ধার হইয়াছেন। দেবতারা ফোর্টের মধ্যে প্রবেশ করিয়াই দেখেন—প্রাচীরে অনেকগুলি হিন্দু দেব-দেবীর মূৰ্ত্তি অঙ্কিত রহিয়াছে। নারায়ণ কহিলেন “দেখ বরুণ! দুর্গটি হিন্দু রাজাদিগেরই ছিল। মুসলমানদিগের হইলে প্রাচীরে এ সব মূৰ্ত্তি থাকিবে কেন ?” বরুণ। এমন হইতে পারে দেবদ্বেষী মুসলমানের হিন্দু দেব-মন্দিরগুলি ভাঙ্গিয়া আনিয়া সেই প্রাচীরে এই প্রাচীর নির্মাণ করিয়াছে। এই দুর্গটি দৈর্ঘে চারি হাজার ফিট এবং প্রস্থে তিন হাজার পাচ শত ফিট আন্দাজ হইবে। ইহার প্রাচীর ১৩১৪ হাত উচ্চ। কেল্লাটির তিন দিকে গড় এবং একদিকে ভাগীরথী স্বয়ং প্রবাহিতা। এক্ষণে ইহার চারিদিকের প্রাচীর এবং চারিটি গেটমাত্র অবশিষ্ট আছে। ঐ গেটগুলিকে লাল-দরজা কহে । আহা ! এই কেল্লায় দুরাত্মা নবাব মীরকাসিম রাজা রাজবল্লভকে যেরূপে হত্য করিয়াছিলেন, অদ্যাপি স্মরণ হইলে কান্না আইসে । १११