পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন যখন তাঁহার হাসপাতাল হইতে বাহির হয়েন একটি বাঙ্গালীবাবুও তাহাদের সহিত বাহির হইলেন । সকলে একটি অশ্বখগাছের তলে উপস্থিত হইয়া দেখেন একটি যুবা তাহাদিগকে দেখিয়া বৃক্ষান্তরালে লুক্কায়িত হইল। বাঙ্গালী বাবুটি দ্রুত গিয় তাহার হাত ধরিয়া কহিলেন ‘কে ও, হরি! তুমি এখানে লুকিয়ে আছ যে ?” যুবা। আঞ্জে, না। আমার কিছু প্রয়োজন আছে। বাঙ্গালী। গাছের তলায় তোমার কি প্রয়োজন ? যুবা । আছে, কিছু বিশেষ প্রয়োজন আছে। বাঙ্গলী। বুঝেছি, তোমাদের জামালপুরে কৃষ্ণ ঘোষের পরিবারকে তুলসীতলায় নামিয়েছে। মলে ঘাড়ে করে মুঙ্গেরে আনতে হবে বলে তুমি পলাতক হয়েছ । যুবা। আমাকে সে বদনাম দেবার যে নেই, ডাকবামাত্র গিয়ে মডা ঘাড়ে করি । বাঙ্গালী । আজ পালিয়ে এলে কেন ? যুবা । আমাকে আপনি অনর্থক মিথ্যাপবাদ দিচ্ছেন, আমার ছোবার যো নাই । বাঙ্গালী । তোমার ত বিবাহ হয় নাই, ছোবার যো নাই কেন ? যুবা । বলবো— বাঙ্গালী । বলনা ? যুবা । দাদার স্ত্রী অন্ত:স্বত্বা ; “তুমি অধঃপাতে যাও” বলিয়া বাঙ্গালীবাণুটি হাসিতে হাসিতে চলিয়া গেলন । দেবগণও অপর দিক দিয়া বাসায় চলিলেন । যাইতে যাইতে ব্ৰহ্মা কহিলেন “বরুণ ! শব-বহন অপেক্ষ পুণ্য আর নাই। কলিতে এই কার্ষের দ্বারা অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল পাওয়া যায়। কিন্তু এ কি ! পাছে শব বহন করিতে হয় এই আশঙ্কায় ঐ ব্যক্তি লুকায়িত আছে। আহা! সকলেই যদি এইভাবে থাকে-মৃত স্ত্রীর স্বামীর আজ কি কষ্ট ? ভাবিতে যে শরীরে শোণিত পর্যন্ত শুষ্ক হইতেছে। তিনি এক্ষণে শোকে তাপে বিহ্বল— তাহার উপর আবার মড়া কিরূপে বাহির হইবে এই দুর্ভাবনা। বরুণ, চল 食镇总