পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুঙ্গের আমরা জামালপুরে গিয়ে শব-বহনরূপ সৎকার্যের অনুষ্ঠান করে অক্ষয় পুণ্য সঞ্চয় করে ব্রাখি ।” বরুণ। ২১ জন লুক্কায়িত আছে বলিয়া সত্যসত্যই কি শব গৃহে পচিবে ? অবশ্যই কেহ না কেহ বহন করিয়া আনিয়া সৎকার করিয়া যাইবে । তত্তজন্তু আপনি উদ্বিগ্ন হইবেন না। দেবগণ বাসায় আসিয়া তৎপরদিন কষ্টহারিণীর ঘাটে স্নান করিতে চলিলেন। যাইবার সময় দেখেন, কতকগুলি কেরাণী স্নান করিয়া আসিতেছেন এবং পরম্পর বলাবলি করিতেছেন “শীঘ্ৰ চল, ঘোর ঘোর থাকতে না খেয়ে নিলে ষ্টেশনে গিয়ে ট্রেন পাওয়া যাবে না, আফিস কামাই হবে।” নারা । বরুণ, ইহার কারা ? বরুণ ৷ রেলওয়ে অফিসের কেরাণী। ইহার রজনীযোগেই দুইবার করিয়া আহার করিয়া থাকেন। কারণ, জামালপুর হইতে আসিতেও রাত্রি হয় এবং রাত্রি থাকিতে যাইতে হয় ; সুতরাং সূর্যালোকে আর আহারাদি করা ঘটে না । ইহাদিগকে –দিবসে না দেখায় – ছেলেরাও বাপ বলিয়া চেনে না; রবিবারে দেখিয়া মনে করে বাড়িতে কুটুম্ব এসেছে। ইন্দ্র। এত কষ্টে এখানে থাকার প্রয়োজন ? জামালপুরেই ত বাসা করিলে হয় । বরুণ । সেখানকার অপেক্ষা এখানে অনেকগুলি বিষয়ের সুবিধা আছে । প্রথমতঃ বাড়ীম্বর সস্তা, তদ্ভিন্ন *ঢেবুয়া” চলে। পিতামহ ! চেয়ে দেখুন এই ক্ষুদ্র পোলের নীচে প্রায় শতাধিক-সোপান-বিশিষ্ট গঙ্গাপুলিনপ্রসারিণী বেগমদিগের এক অতি আশ্চর্য “বোঁলী” অর্থাৎ স্নানের ঘাট বর্তমান রহিয়াছে। সোপানের অন্ধকাররাশি নষ্ট করিবার জন্ত দেখুন অদ্যাপি দুইটি আলোকস্তম্ভও বিদ্যমান রহিয়াছে। যে স্থান হইতে এই সোপানশ্রেণী আরম্ভ হইয়াছে, সেই স্থানে নবাব মীরকাসিমের অন্দর ছিল । বেগমেরা এই স্থানে স্নান করিতেন এবং কোন বিপৎপাত্তের আশঙ্কা হইলে এই গুপ্ত দ্বার দিয়া বহির্গত হইয়া পলায়ন করিতেন। দেবগণ কহৈারিণী ঘাটে উপস্থিত হইয়া দেখেন- ঘাটটি বড় স্বাররূপে বাধান। ভাগীরথী ঘাটের নিকট দিয়া কলকল শত্বে উত্তর-বাহিনী হইয়। 载镇●