পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন এখান হইতে র্তাহারা একটি রাস্ত দিয়া চলিলেন। রাস্তাটির উভয় পার্শ্বে দেখেন—বন্ধকালের অশ্বথ, পাকুড় ও বটাদি বৃক্ষ সকল বহুদূর শাখা প্রশাখা সকল বিস্তার করিয়া দণ্ডায়মান রহিয়াছে। দেখিলে বোধ হয়, ইহারা যেন একদৃষ্টি মুঙ্গেরের অদৃষ্টলিপি দৰ্শন করিতেছে এবং মধ্যে মধ্যে শিশিরকুপ আশ্রবারি পরিত্যাগ করিয়া মনোদুঃখ ব্যক্ত করিতেছে। এইস্থানে উপস্থিত হইয়া দেবগণের মনে এক অভিনব ভাবের উদয় হইল। র্তাহারা দাড়াইয়া দাড়াইয়া গাছগুলির প্রতি একদৃষ্টি চাহিতে লাগিলেন। পিতামহ কছিলেন, “দেখ বরুণ ! আমার মনুষ্যগণ অপেক্ষ বৃক্ষগণ অনেক স্বর্থী এবং অনেককাল স্থায়ী। আমার বোধ হইতেছে, এই বৃক্ষেরা মুঙ্গেরের সৌভাগ্যের দশা হইতে মীরকাসিমের অত্যাচার প্রভৃতি অনেক বিষয় চক্ষে দেখিয়াছে এবং এক্ষণেও ইহার ধ্বংসের অবস্থা অবলোকন করিড়েছে। কিন্তু মুঙ্গেরের সেই সমস্ত মহাপুরুষ, সেই সমস্ত পাষণ্ড এক্ষণে কোথায়? একবার আসিয়া দেখুক—ঙাহাদের অপেক্ষ, তাহাদের অকিঞ্চিৎকর দেহ অপেক্ষা, তাহাদের হস্তরোপিত বৃক্ষগুলি কতকাল স্থায়ী । পরিভাপের বিষয় এই, আমার মমুন্যেরা আপনাদিগকে বৃক্ষাদি অপেক্ষ স্বল্পকালস্থায়ী দেখিয়া ও ধনমদে ঐশ্বৰ্ষ্যমদে উন্মত্ততা প্রকাশ করিতে ছাড়ে না ।” এখান হইতে দেবগণ চণ্ডীস্থানের অভিমুখে চলিলেন! উপস্থিত হইয়া দেখেন —নগরপ্রান্তে বিজন স্থানে এবং ভাগীরথীতীরে একটি মন্দির মধ্যে দেবীমূৰ্ত্তি বিরাজ করিতেছে। নিকটে অপর একটা শিবমূৰ্ত্তি বিরাজমান রহিয়াছে। অশ্বথতলায় কয়েকটি সন্ন্যাসী চক্ষু মূদ্রিত করিয়া বসিয়া আছেন। একটা কুকুর দেবগণকে দেখিয়া ঘেউ ঘেউ শব্দে ডাকিয়া উঠিল। উপ একখানি এগার ইঞ্চি ইট হাতে লইবামাত্র কুকুরও আত্মসাবধান হইয়া দূরে পলায়ন করিল বটে ; কিন্তু ডাকিতে ছাড়িল না। বরুণ । পিতামহ । ইহারই নাম বিক্ৰমচণ্ডী । ব্ৰহ্মা। এ মূৰ্ত্তি কে প্রতিষ্ঠা করে এবং ইহার নাম বিক্ৰমচণ্ডী হইল কেন— আমাকে বিশেষ করিয়া বল । বরুণ। বেহারীরা বলে-ইহা বায়াল্প-পীঠের মধ্যে একটি পীঠস্থান ; কিন্তু শাস্ত্রাদিতে তাহার কোন উল্লেখ দেখা যায় না। এই চওঁী সম্বন্ধে একটি অদ্ভূত গল্প এখানকার পাগুদিগের মুখে শুনিতে পাওয়া যায়। ই ই ৮