পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুঙ্গের ইন্দ্র । সে গল্পটা কি ? বরুণ। তাহারা বলে—মহামতি কর্ণ প্রতিদিন রজনীযোগে ভাগলপুর হইতে হইতে ইহাকে পূজা করিতে আসিতেন। ভাগলপুরে কর্ণপুরী ছিল । তিনি আসিয়াই প্রকাও অগ্নি প্রস্তুত করিয়৷ তদুপরি এক কড়া ঘৃত চাপাইয়া পূজা করিতে বসিতেন। পূজা হইলে সেই কড়াস্থিত উত্তপ্ত ঘূতমধ্যে লাফাইয়। প্রাণত্যাগ করিতেন। তাহার মাংসাদি ঘৃতে উত্তমরূপে ভাজাভাজা হইলে দেবীর ডাকিনী যোগিনীগণ আসিয়া সেই মাংস লইয়া আহার করিতে বসিত। আহার শেষ হইলে একখানি অস্থিতে অমৃতকুণ্ডের জল দিয়া তঁহাকে সজীব করিয়া বর দিতে চাহিত। কর্ণ তদুনুসারে ঐকড়ার এককড়া স্বর্ণ, রৌপ্য, হীরকাদি প্রার্থন। করিতেন । এবং প্রাতে সেই সমস্ত রত্ব কাঞ্চনাদি দরিদ্রদিগকে দান করিতেন। রাজা বিক্রমাদিত্য, কর্ণ প্রত্যহ এত অর্থ কিরূপে সংগ্রহ করেন জানিবার জন্ত, তাহার নিকটে ছদ্মবেশে আসিয়া ভূত্য হইতে প্রার্থনা করেন। কর্ণ র্তাহাকে এই স্থানের ভৃত্য নিযুক্ত করিয়া পুপচয়ন এবং পূজার স্থানাদি করিবার ভারাপণ করিয়াছিলেন। বিক্রমাদিত্য পূজার পদ্ধতি ও উক্ত স্থতে দেহত্যাগ ইত্যাদি কৌশল দেখিয়া একদিন কর্ণ আসিবার পূৰ্ব্বে স্বয়ং পূজাদি সমস্ত কার্য শেষ করিয়া স্কৃতে প্রাণ পরিত্যাগ করিয়া ভাজা হইলেন। ডাকিনী যোগিনীগণ র্তাহার মাংস ভোজন করিয়৷ অমৃতকুণ্ডের জলে জীবন দান করিয়া বর দিতে চাহিলে এই বর প্রার্থনা করেন যে,--অস্থ্য হইতে কর্ণ আসিবামাত্ৰ যেন তাহার প্রার্থিত রত্ব কাঞ্চনাদি প্রাপ্ত হন, আর যেন কষ্ট পাইয়া তাহাকে উত্তপ্ত ঘৃতে জীবন ত্যাগ করিতে না হয়। অনেক কষ্ট্রে যোগিনীগণ র্তাহাকে এ বর প্রদান করিলেন। বিক্রমাদিত্য বর প্রাপ্ত হইয়! সেই স্কৃতের কড়াখানি দেবীর গৃহের ছাদের উপর উণ্টাইয়া চলিয়া গেলেন ক্ষ সেইজন্য তদবধি ইহার ছাদ কড়ার আকার ধারণ করিয়াছে এবং সেই কারণেই ইহার নাম বিক্রমচওঁী হইয়াছে।” এই কথা বলিয়া বরুণ গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলেন এবং কড়ার আংটার স্তায় একটা আংটা + খটু খটু শব্দে নাড়িয়া দেবগণকে দেখাইতে লাগলেন

  • বিক্রমাদিত্য অনেকগুলি ছিলেন-এক্ষণে সপ্রমাণ হইয়াছে।

এই আংটা অস্থাপি বর্তমান আছে। శిశిపా