পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন স্বৰ্গীয় পথের আবিষ্কার জন্ত বোম্যান’-নামক শূন্তে উঠিবার একপ্রকার রথ তো বহুদিন পূর্বেই প্রস্তুত করিয়াছে, আবার ইদানীং একপ্রকার ‘ব্যোম জাহাজ’ তৈয়ারি করিবার চেষ্টায় আছে * । তাঁহাতে মনের ভাব, কোন রকমে একবার পথটি চিস্তে পারলেই একদিন সদলে আসিয়া স্বর্গ অধিকার করিবে । ইন্দ্র। ভাল, মনে কর, ইংরাজের স্বৰ্গীয় পথ আবিষ্কৃত করিল এবং স্বর্গেও সদলে আসিয়া উপস্থিত হইল, কিন্তু কি প্রকারে আমার বজের হাত এড়াইবে ? তুমি কি ইহার প্রভাব জান না ? বরুণ । সব জানি, কিন্তু ইংরাজের তেমন পাত্র নয় ; তোমার বজ্রে ভীত হইবার লোক নহে । তাহারা তোমার বজ্রকে চোড়া করিবার এক ফিকির বাহির করিয়াছে। অর্থাৎ বজে অনেক বৃহৎ বৃহৎ অট্টালিকা, মন্দির, মসজিদ নষ্ট করে দেখিয়া তাহারা একপ্রকার লৌহশিক প্রস্তুত করিয়াছে। ঐ শিক দোতালা-তেতাল কোঠার গাত্রে লাগাইয়া দিলে বজের বিষ্ঠা আর খাটিবে না। অতএব যদি ঐ শিক ব্যোমযানে লাগাইয়া উঠে, তোমার বজ্রে কি করিবে ? তুমি ইংরাজজাতির কলকৌশল দেখিলে না, শুনিলে না বলিয়াই গৰ্ব্ব কর এবং মনে ভাব তোমার অমরাবর্তীর অপেক্ষা সুন্দর স্থান আর নাই ; কিন্তু যদি একবার ইংরাজ-রাজধানী কলিকাতা দেখ, অমরাবতীতে আর আসিতেও চাহিবে না। এখানে তুমি সামান্য সুন্দরী শচীকে পাইয়া ভুলিয়া আছ ; কিন্তু কলিকাতায় যাইয়া যদি আরমানি বিবি দেখ, হয়তো আর শচীর প্রতি ফিরেও তাকাইবে না। এখানে তুমি সামান্ত বন নন্দনকাননে যাইয়া অনেক রাত্রি পর্য্যন্ত বসিয়া থাক, কিন্তু কলিকাতায় যাইয়া যদি একদিন ইডেন গার্ডেনে প্রবেশ কর, তাহলে হয়তো আর ফিরে আসতে চাইবে না। তুমি স্বৰ্গীয় ধেনো মদকে মৃধা বল, কিন্তু ইংরাজ-রাজ্যে যাইয়া যদ্যপি গেরি, স্যাম্পেন, ব্রাণ্ডি পান কর, হয়তো আর এ স্বধা মুখেও করবে না। ইংরাজের তৈল-শলিতা-বিহীন লন্ঠনে আলো জালে। লৌহ-তারে খবর আনে । জলে কলের তরী চালায় । কুইনাইন-নামক ঔষধে সদ্যঃ জর আরাম করে । ইংরাজকৃত কুইনাইনের শিশি সম্বল করিয়া কত শত গণ্ডমূর্থ ধন্বন্তরি হইয়া পথে পথে ডিসপেন্সরি খুলে বিরাজ করিতেছে। এক পাইপের মৃষ্টি করে আমার মাথাটা একেবারে খেয়েছে ।

  • এ চেঃ এক্ষণে সফল হইয়াছে।

发峰