পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন এবং কহিলেন “এই ঘরে কেহ রজনীতে একাকী থাকিতে পারে না। থাকিলে তাহার মৃত্যু হয়।” & - দেবগণ ভক্তিভাবে চণ্ডীকে ঘনঘন প্রণাম করিলেন। বরুণ কহিলেন “এই গৃহের এদিকে ৩৪টা শিব, অন্নপূর্ণ এবং পাৰ্ব্বতী আছেন। এবং প্রবেশপথে মন্দিরমধ্যে যে শিবমূৰ্ত্তি দেখিলেন, উনি কালভৈরব।” দেবতারা চওঁীস্থান হইতে বাহির হইতেছেন, এমন সময় দেখেন ১০১৫ জন লোক মৃত শরীর বহন করিয়া আনিতেছে । তাঁহাদের কাহারো হস্তে, আগুনের হাড়ি, কাহারো হন্তে হুকা-কলিকা, কাহারো বগলে কয়েকখানি নূতন বস্ত্র ও তাহার এককোণে সোণ রুপা বাধা, কাহারে। হস্তে একখানি দা ও একটি কলসী। শব তখন চারিজনের স্বন্ধে ছিল ; তাহার সমস্ত শরীর সপে জড়ান এবং তদুপরি একটি বাশ তিন চারিস্থানে কঠিন বুজ দ্বারা দৃঢ়ৰূপে বাধা। কেবল পা দুইখানি দেখা যাইতেছিল। বহনকরীরা গঙ্গাকে সন্নিকটে দেখিয়া উচ্চরবে হরিধ্বনি করিল এবং পথশ্রমের ক্লাস্তি দূর করিবার জন্য একটি অশ্বখবৃক্ষের তলায় শব নামাইয়। একজন স্পর্শ করিয়া থাকিল, অপর কয়েকজন তামাক খাইবার উদ্যোগ করিতে লাগিল। বরুণ কহিলেন, “পিতামহ ! আপনি তখন ভাবিতেছিলেন-দেখুন এই সেই জামালপুরের বাসি মড়া আসিল ।” এই সময়ে বহনকারীরা পরম্পরে কথোপকথন আরম্ভ করিল। একজন কহিল, “এই মড়া বাহির করিবার জন্ত বড় কষ্ট পাইতে হইয়াছে এবং অনেক নূতন নূতন কথা শুনিতে হইয়াছে। সকলেই পরিবারের দোহাই দিয়া আমাদিগকে নিরাশ্বাস করিয়া ফিরাইয়া দিয়াছেন। কি আশ্চর্য! র্তাহীদের কি এমন দিন উপস্থিত হইবে না ? বিধাতা কি তাহাদিগের ভাগ্যে মৃত্যু লেখেন নাই ? ঈশ্বর অবশ্যই এ সব বিষয় দেখিতেছেন, তিনি অবগুই ইহার বিচার করিবেন। দুঃখের কথা কি কহিব, অনেকেই মুক্তকণ্ঠে কহিলেন, ‘তোমরা কেন ময়ল ফেলার গাড়ী করিয়া লইয়া যাওনা ’ কেহ বা কহিলেন ‘ডেকারা নদীতে ফেলিয়া এস, তাহা হইলে ২৪ জনেই লইয়া যাইতে সক্ষম হইবে —আমাদের আর সাহায্য আবশুক হইবে না। আবার কতকগুলি লোক কছিলেন ‘কবর দেও ’ এই কবর দেওয়ার কথার আবার পোষকতা করিয়৷ অনেকে বলিলেন “বাঙ্গালীদের গঙ্গাতীরে লইয়া সৎকার করা অপেক্ষা ক4র ఇ\తితి