মুঙ্গের দেওয়া সহস্র গুণে ভাল। তাহা করিলে আমরা চাদ দিয়া একখান গাড়ি ও দুইটা গরু এবং কবরস্থানের জন্য কিঞ্চিৎ জমি খরিদ করিয়া দিতে প্রস্তুত আছি। এরূপ মৃত শরীর বহন জন্য কাহাকেও আর কষ্ট পাইতে হইবে না এবং আমরাও বিনা আহানে মৃতবহ গাড়ীর পশ্চাৎ পশ্চাৎ সাহেবদের মত দুঃখ করিতে করিতে গোরস্থান পর্যন্ত যাইয়া কবর দেওয়া দেখিয়া আসিতে পারিব । কেন—আমরা কি গোরস্থানে যাই না ? গোরস্থানে যাওয়া আমাদের অভ্যাস নাই ? সে দিনও চ্যাম্বারলেন সাহেবের মৃত্যু হইলে গিয়াছিলাম এবং শোক প্রকাশের চিহ্নস্বরূপ তিনদিন তিনরাত্রিকাল বনাত ছেড়া হাতে বেঁধেছিলাম। অতএব তোমরা সকলে একমত হইয়া যাহাতে বাঙ্গালীদিগের গোর দেবার ব্যবস্থা হয়, তৎপক্ষে যত্নবান হও ।” ইহার পর শববহনকারীর আবার হরিব্বনি দিয়া মৃতদেহ স্বন্ধে উঠাইয়া লইয়া ভাগীরথীউীরাভিমুখে চলিল। দেবতারাও দুঃখ করিতে করিতে বাসায় আসিলেন । বাসায় আসিয়া সকলে আহারাদি করিয়া কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করেন এবং অপরাহ্লে আবার নগর ভ্রমণে বহির্গত হন। কিছু দূরে যাইলে বরুণ কছিলেন, “পিতামহ ! সম্মুখে ঐ যে ধ্বংসাবশিষ্ট অত্যন্ত্রমাত্র অট্টালিকা দেখিতেছেন, ঐ স্থানে নবাবের প্রাসাদ ছিল। ওদিকে দেখুন মুঙ্গের জেল।” উপ। ঠাকুর কাকা, চলন আমরা জেলে যাই ! নারা । তোমার যে প্রখর বুদ্ধি, তোমার ভাগ্যে জেলে যাওয়াই ঘটবে। বরুণ। ও বলে কি ? নারা । জেল দেখবে । বরুণ । না রে—পৈতে ছিড়ে দেবে। ব্ৰহ্মা। বরুণ ! পৈতে ছিড়ে দেবে কি ? বরুণ। এক সময়ে মুঙ্গের জেলে একজন সিভিল সার্জন দুইজন পাচক ব্রাহ্মণের পৈতে ছিড়ে দিয়েছিলেন । এই পৈতা ছেড়ায় জেলের মধ্যে মহা গোলযোগ উপস্থিত হইবার উদ্যোগ হয়। দুইজন বৃদ্ধ কয়েদী ২৩ দিন উপবাস করিয়াছিল। ব্ৰহ্মা। র্যা—যজ্ঞোপবীত ছিড়ে দিলে ?—কেন ? ఫితి
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।