পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ। কেন তা তিনিই জানেন। দেখুন পিতামহ । এইস্থানে পূৰ্ব্বে নবাবের সৈন্যসামস্ত থাকিত। যে স্থানে তাহার স্বপ্রশস্ত বারিক ও বারুদের ঘর ছিল, সেই স্থানে এই জেলখানা প্রস্তুত হইয়াছে। এখান হইতে সকলে আদলতের নিকট যাইয়া উপস্থিত হইলেন। বরণ দেখাইতে লাগিলে এটি কালেক্টরি, এটি ফৌজদারী, ওদিকে ঐটি রেজেষ্টারী অফিস, ঐ গৃহে মুন্সেফ বসিয়া বিচার করেন, ওদিকের গৃহে ডেপুটিবাবুর আফিস। দেবগণ দেখিলেম-আদালতগুলির নিকটস্থ প্রাঙ্গণে, বৃক্ষতলে, রাস্তার ধারে অসংখ্য লোক বসিয়া আছে। কেহ ষ্ট্যাম্প বিক্রয় করিতেছে, কেহ জলখাবার খাইতেছে, কেহ কৃপ হইতে জল তুলিতেছে, কেহ খাবার বিক্রয় করিতেছে। কোন স্থানে কানে কলম, হাতে কাগজ মোক্তারের দল উকীলের সহিত পরামর্শ করিতেছে। কোন স্থানে কোন আসামী মকদ্দমায় জয়লাভ করায় আদালতের চাপরাশীরা তাহাকে পরিবেষ্টন করিয়া কিছুকিছু পুরস্কার প্রার্থনা করিতেছে। কোন স্থানে আসামীর হাতে হাতকড়ি দিয়া জেল অভিমুখে লইয়া যাইতেছে দেখিয়া তাহার পিতামাত পুত্র কলগ্রগণ উচ্চস্বরে ক্ৰন্দন করিতেছে। উপ। বরুণ কাকা! এখানে কি ব্রাহ্মণ-ভোজন ? বরুণ। দেখুন পিতামহ ! এই হচ্ছে মুঙ্গের বিচারালয়। ব্ৰহ্মা। যত লোক দেখিতেছি—সকলেরই কি মকদ্দমা আছে ? বরুণ। আজ্ঞে না, বেহারবাসীদিগের অভ্যাস আছে, গ্রামস্থ কোন ব্যক্তির নামে যে কোন বিষয়ের অভিযোগ হউক, গ্রামস্থ যাবতীয় লোক তামাসা দেখিতে আসিয়া থাকে এবং যে পর্য্যন্ত না আদালত বন্ধ হয়, বসিয়া থাকে । ইহাদের একটি পয়সা মা বাপ-কিন্তু বিচারালয়ে অর্থব্যয় করিতে কাতর নহে। এখান হইতে দেবতারা গবর্ণমেণ্ট বিদ্যালয় দর্শনে যাত্রা করিলেন। উপস্থিত হইয়া বরুণ কহিলেন “এই মুঙ্গের গবর্ণমেণ্ট স্কুল ।" ইন্দ্র। এইরূপ স্কুল গবৰ্ণমেণ্টের কতকগুলি আছে ? বরুণ। প্রায় প্রত্যেক জেলাতেই এক একটি আছে। তম্ভির ভদ্রপল্লী মাত্রেরই ৷ বিদ্যালয়গুলিতে গবৰ্ণমেণ্ট হইতে মাসিক নিয়মে সাহায্য করা হয়। ইংরাজরাজের মত কোন রাজাই প্রজাকে বিদ্যা বিতরণ করিতে এত যত্ন করেন নাই । ২৩২