পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুঙ্গের উপবেশন করিলে ব্ৰক্ষা কছিলেন, “বকুণ ! সীতাকুণ্ডের উৎপত্তির কথা বল ?” বরুণ। এঁরামচন্দ্র সীতা উদ্ধার করিয়া প্রত্যাগমন করিবার সময়ে মুঙ্গেরের কষ্টহারিণী ঘাটে বসিয়া বিশ্রাম ও স্নান করিয়াছিলেন। ঐ সময়ে কষ্টহারিণী ঘাটের অপর পারে বসিয়া অনেকগুলি মুনি ঋষি তপস্যা করিতে ছিলেন। ঐরামচন্দ্র স্নানাস্তে সীতা, লক্ষ্মণ এবং হকুমান সহ তাহাদিগকে ফল প্রদান করিতে যাইলে মুনিগণ প্রত্যেকের ফল গ্রহণ করেন ; কিন্তু সীতার ফল গ্রহণ করেন নাই । রামচন্দ্র কারণ জিজ্ঞাসা করিলে বলিলেন, “সীতা অনেক দিন রাবণগৃহে একাকিনী বাস করিয়াছিলেন, রাবণের চরিত্রও নিতান্ত মন্দ ছিল ; অতএব সীতা, সতী কি অসতী বিশেষরূপ ন! জানিলে তাহার ফল কি প্রকারে গ্রহণ করা যাইতে পারে?” মুনিগণের মূখে এই কথা শুনিয়া রাম লক্ষ্মণ অবনত মস্তকে রহিলেন। তাহাদের অবস্থা দেখিয়া মুনিগণ পুনরায় কছিলেন, *জনক ঋষি আমাদের সকল ঋষির শ্রেষ্ঠ । অতএব তিনি যদি বলেন–র্তাহার দুহিতা সতী, তাহা হইলে ফল গ্রহণ করা যাইতে পারে। হনুমান এই কথা শ্রবণে তদণ্ডে জনকপুরে যাত্রা করিলেন । কিন্তু জনক রাজা কহিলেন, “সীতা যতদিন অবিবাহিত অবস্থায় তাহার নিকট ছিলেন, ততদিন তিনি তাহার বিষয় জানিতেন । তৎপরে যখন তিনি র্তাহীকে শ্রীরামচন্দ্রের হস্তে অপর্ণ করিয়াছিলেন, তখন আর তাহার সীতা সম্বন্ধে কোন বিষয় জানিবার আবশুক করে না এবং জানেন ও না ।" হকুমান প্রত্যাগনন কুরিয়া এই কথা বলিলে ঐরামচন্দ্র অত্যন্ত দুঃখিত হইলেন এবং কি করিবেন ভাবিতে লাগিলেন। মুনিগণ র্তাহাকে তদবস্থ দেখিয়া কহিলেন, “সীতা যদি অগ্নিতে পরীক্ষা দিতে পারেন তাহা হইলে আমরা তাহার ফল গ্রহণ করিতে পারি।” নারা । সীতার পরীক্ষা কি এখানে হইয়াছিল ? বরুণ । হ্যা । তিনি স্বীকার করিলে মুনিগণ মুঙ্গেরের বাহিরে আসিয়া এই স্থান মনোনীত করিলেন এবং হনুমান কাষ্ঠ সংগ্ৰহ করিয়া চিতা সাজাইয়া দিলেন। চিত্ত প্ৰজলিত হইলে সীতা সেই অগ্নি মধ্যে প্রবেশ করিলেন, কিন্তু দগ্ধ হইলেন না। ব্ৰহ্মা। অ! মরি মরি । তার পর বল ? বরুণ। মুনিগণ সীতাকে ভস্ম হইতে না দেখিয় চিতা হইতে নামিয় আসিয়া ফল দিতে কহিলেন । তখন সীতা হৃষ্টচিত্তে নামিয়া আসিয়া প্রত্যেকের ఫిడిa